স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কী বললেন মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন

Mir Quasem Ali's family members

ছবির উৎস, AFP/RAJIB DHAR

ছবির ক্যাপশান,

মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যরা শনিবার কারাগারে শেষ সাক্ষাত করতে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতার সঙ্গে

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড আজ শনিবারই কার্যকর করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

তাঁর সঙ্গে কারাগারে আজ শেষ সাক্ষাত করার পর তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন কারা কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছেন আজই (শনিবার) মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

মিসেস খাতুনসহ মিঃ আলীর পরিবারের "বিশ-বাইশজন" সদস্য কারাগারের ভেতর মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

যে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই অপরাধ সম্পর্কে মিঃ আলী শেষ মুহূর্তে কী বলেছেন তা জানতে চাইলে তাঁর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন এ সম্পর্কে নতুন করে তিনি কিছু বলেন নি।

মিঃ আলী এখনও মনে করছেন তাঁর বিরুদ্ধে "অপরাধগুলো সবই সাজানো এবং উনি কোন অপরাধ করেন নাই"।

মিসেস খাতুন বলেন "ঘটনার সাক্ষীসহ সমস্ত কিছুই সাজানো মিথ্যা মামলা"।

তিনি বলেন তাদের নিখোঁজ ছেলের ব্যাপার নিয়ে তারা খুবই উদ্বেগে রয়েছেন।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

মীর কাসেম আলী

মিঃ আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে তাঁর মতামত জানানোর আগে নিখোঁজ ছেলের মুক্তির যে শর্ত দিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গ তুলে মিসেস খাতুন বলেন "সময় থাকার দুদিন আগে ওঁনার ওপর চাপ প্রয়োগ করার পরে উনি বলে দিয়েছেন আমি ক্ষমা চাইব না।"

তিনি বলেন মিঃ আলীর হাতে সময় থাকার পরেও কেন তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসলেন -এধরনের যে প্রশ্ন উঠেছে তার উত্তরে মিঃ আলী বলছেন, "উনি সরে না আসলে লোকে ভাববে তিনি একটা অছিলা দিয়ে হয়ত সময় ক্ষেপণ করতে চাইছেন। একথা মনে করেই উনি সরে আসছেন।"

তবে মিঃ আলী দাবি রেখেছেন যে পুলিশ যেন আমাদের নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে আমাদের কাছে ফেরত দেন।

"ওঁনার মনে অনেক দুঃখ রয়ে গেল যেটা- উনি কোন কিছু নিয়েই কোন কষ্ট পান নি, কিন্তু ছেলের ব্যাপারটা নিয়ে উনি কেঁদে দিয়েছেন।"

"উনি বলেছেন ছেলে ফার্স্ট টু লাস্ট সমস্ত কাজ করেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্ত সে তার বাবাকেও দেখতে পারল না, শেষ রিভিউটাও করতে পারল না।"