উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রুদ্রপুরে দেশের প্রথম 'খাটসভা' করেছে কংগ্রেস

  • শুভজ্যোতি ঘোষ
  • বিবিসি বাংলা, দিল্লি
ভারত, খাটিয়া, রাহুল গান্ধী

ছবির উৎস, ANI

ছবির ক্যাপশান,

জনসভার জন্য দুহাজার খাটিয়া এনে পাতা হয়

ভারতে রাজনৈতিক নেতারা জনসভা, পথসভা, চলন্ত গাড়িতে চেপে রোডশো - ইত্যাদি যে সব উপায়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে থাকেন তার সঙ্গে সে দেশের মানুষের বিলক্ষণ পরিচয় আছে। তবে এই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন হল 'খাটসভা'।

খাটসভা আর কিছুই নয়, এর অর্থ হল মাঠে বিছিয়ে দেওয়া হবে শত শত খাট বা খাটিয়া - আর সেখানে বসেই নেতা বা নেত্রীর ভাষণ শুনবেন সমাবেশে আসা লোকজন।

সভার মেজাজটা হবে উত্তর ভারতে গ্রামের চৌপলে খাটিয়াতে বসে প্রবীণদের আড্ডার মতো, যেখানে হুঁকো খেতে খেতে তারা সমাজ-সংসারের নানা বিষয়ে মতবিনিময় করে থাকেন।

আজ মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার রুদ্রপুরে দেশের প্রথম 'খাটসভা'য় ভাষণ দিয়েছেন কংগ্রেস দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।

উত্তরপ্রদেশে আগামী বছরের নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাজ্য জুড়ে তার সেই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবেই এই খাটসভার আয়োজন করা হয়েছিল।

নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এই দেওরিয়া থেকেই উত্তরপ্রদেশে এক 'কিষাণ যাত্রা'-র সূচনা করেন রাহুল গান্ধী, আর তার সেই সভার আগে গোটা মাঠে বিছিয়ে দেওয়া হয় হাজার দুয়েকেরও বেশি খাটিয়া।

ছবির উৎস, PTI

ছবির ক্যাপশান,

জনসভার পরপরই খাট নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। মাথায় করে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে যায় লোকজন।

উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে সে ছবি আগাম টুইট করে ঘোষণা করা হয়, ওই সভায় এলে খাটিয়াতে বসেই জনগণ রাহুল গান্ধীর ভাষণ শুনতে পারবেন।

রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা মনে করেছিলেন, ২০১৪-র নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির 'চায়ে পে চর্চা' বা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক যেমন তুমুল সাড়া ফেলেছিল তেমনি এই অভিনব খাটসভাও দারুণ আলোড়ন ফেলবে।

তাদের সেই প্রত্যাশা অনেকটাই মিটেছে, খাটে বসে নেতার ভাষণ শুনতে রুদ্রপুরের মাঠে ভিড় উপছে পড়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে।

তবে সভা শেষ হওয়া মাত্র তাদের অনেকেই না কি খাটিয়া পিঠে নিয়ে দুদ্দাড় দৌড় দিয়েছেন, উদ্যোক্তারা হাজার চেষ্টা করেও খুব অল্প লোককেই ঠেকাতে পেরেছেন।

অর্থাৎ রুদ্রপুরের অভিজ্ঞতা বলছে, দেশের কোথাও এখন থেকে খাটসভার আয়োজন করতে গেলে কয়েকশো খাটিয়ার দামও এখন থেকে ওই রাজনৈতিক দলের খরচের হিসেবে ধরে রাখতে হবে!