ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কেজিবির অনুচর ছিলেন!

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

ছবির উৎস, AP

ছবির ক্যাপশান,

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস সোভিয়েত গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির চর ছিলেন বলে দাবি করছেন ইসরায়েলের গবেষকরা।

জেরুসালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, তারা সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভে কিছু দলিল খুঁজে পেয়েছেন যাতে দেখা যাচ্ছে মাহমুদ আব্বাস দামেস্কে থাকাকালে কেজিবির চর হিসেবে কাজ করেছেন।

তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র একে তাঁর চরিত্রে কলংক লেপনের এক উদ্ভট চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন নতুন করে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন, তখনই ইসরায়েলি গবেষকরা এরকম একটি দাবি করলেন।

ইসরায়েলি গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, যে দলিল তারা খুঁজে পেয়েছেন, তাতে মাহমুদ আব্বাসকে ১৯৮৩ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সোভিয়েত অনুচর বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

কেজিবির একজন গুপ্তচর ভাসিলি মিত্রোখিন যখন পক্ষত্যাগ করেন, তখন তিনি হাজার হাজার পৃষ্ঠার দলিল বৃটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

এরকম একটি দলিলে মাহমুদ আব্বাসকে 'ক্রোটভ' বা চর বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

মাহমুদ আব্বাস জীবনের একটি সময়ে দামেস্কে থেকেছেন এবং সেখানে পড়াশোনা করেছেন। তবে কখন কিভাবে কেজিবি তাকে 'চর' হিসেবে নিয়োগ করে তার বিস্তারিত ইসরায়েলি গবেষকরা জানাননি।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট্ মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আসলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের শান্তি উদ্যোগে সাড়া দিতে চান না। কিভাবে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে তিনি অনাগ্রহী।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা বা পিএলও আশির দশকের শুরুতে মস্কোর সঙ্গে প্রকাশ্যেই কাজ করছিল। কাজেই মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাহমুদ আব্বাসের কেজিবির গুপ্তচর হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না।