বার্লিনে লরি হামলার দায় স্বীকার করলো ইসলামিক স্টেট

জার্মানির ক্রিসমাস বাজারে হামলার পর ভাঙাচোরা দোকান।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

লরি হামলার সময় ক্রিসমাসের কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনে ভরা ছিলো এই বাজার।

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী দাবি করছে তাদের এক 'যোদ্ধা' জার্মানির বার্লিনে ব্যস্ত ক্রিসমাস বাজারে লরি হামলা চালিয়েছে।

যদিও কোন নিরপেক্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে এই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

আই-এসের দাবি সম্পর্কে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মেইজিয়া খুব সতর্কতার সাথে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন বেশ কটি দিক মাথায় রেখে ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।

এই হামলায় ১২ জন নিহত হয় এবং আরো ৪৯ জন আহত হয়েছে।

ওদিকে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক পাকিস্তানি ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঐ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জার্মানির পুলিশ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ২৩ বছর বয়সী পাকিস্তানি ঐ যুবককে আটক করে।

হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সাধারণ মানুষজনের রেখে যাওয়া ফুল ও মোমবাতি।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সাধারণ মানুষজনের রেখে যাওয়া ফুল ও মোমবাতি।

কর্তৃপক্ষ বলছে ঐ ব্যক্তিই হামলাকারী কিনা সেই অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণাদি নেই।

এর আগে আটকের পরই নাভেদ বি নামে চিহ্নিত পাকিস্তানি ঐ নাগরিক এই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।

বছর খানেক আগে সে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে জার্মানিতে ঢুকেছিল।

ওদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলছেন, হামলাকারী যদি শরণার্থী কেউ হয় তবে তা মেনে নেয়াটা খুব কষ্টকর হবে।

তিনি দোষী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দেয়ার কথা বলেছেন।

মিসেস মের্কেলের জন্য এই ঘটনাটি একটি বড় রাজনৈতিক আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে এই কারণে যে তিনি অভিবাসীদের জন্য জার্মানির দরোজা খুলে রাখার পক্ষপাতী।