পাকিস্তানের বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা হাফিজ সাঈদ গৃহবন্দি

ছবির উৎস, AFP/GETTY IMAGES
আটকের পর লাহোরের বাড়িতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাফিজ সাঈদ
২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইতে হামলার জন্য ভারত এতদিন যাকে অভিযুক্ত করে আসছিল সে হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। মুম্বাইতে সে হামলায় ১৬৬জন নিহত হয়েছিল।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবার মূল নেতা হাফিজ সাঈদ। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লাহোর শহরে তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে হাফিজ সাঈদকে বরাবরই অভিযুক্ত করে আসছে ভারত। আমেরিকাও মনে করে যে সে হামলার পেছনে হাফিজ সাঈদের হাত ছিল। আমেরিকার তরফ থেকে হাফিজ সাঈদকে ধরার জন্য ১০মিলিয়ন ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু মুম্বাই হামলার সাথে জড়িত কথা বারবার অস্বীকার করেছে হাফিজ সাঈদ। তার একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আমেরিকার চাপে পাকিস্তান সরকার হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দি করেছে।
জামাত-উত-দাওয়া নামের পাকিস্তান-ভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেন মি: সাঈদ। আমেরিকা মনে করে এ দাতব্য সংস্থাটি লস্কর-ই-তৈয়েবার একটি অংশ। আমেরিকার তরফ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে লস্কর-ই-তৈয়েবার নাম রয়েছে।
ভারতের অভিযোগ স্বত্বেও হাফিজ সাঈদ এতদিন ধরে পাকিস্তানে অবাধে চলাফেরা করছিলেন। হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এনিয়ে উত্তেজনা ছিল। তবে হঠাৎ করে মি: সাঈদকে কেন গ্রেফতার করা হলো সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
ছবির উৎস, AFP
মুম্বাই হামলার জন্য লস্কর-ই-তৈয়েবাকে দায়ী করে ভারত
ভারতের তরফ থেকে মুম্বাই হামলার সাথে হাফিজ সাঈদকে অভিযুক্ত করলে পাকিস্তান এতদিন ধরে বলে আসছিলে যে মি: সাঈদকে বিচারের আওতায় আনা কিংবা ভারতের হাতে তুলে দেবার মতো যথেষ্ট প্রমাণ তার বিরুদ্ধে নেই।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেল, একটি ইহুদি কেন্দ্র এবং ট্রেন স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা।
হাফিজ সাঈদকে ধরার জন্য আমেরিকা পুরষ্কার ঘোষণা করলেও তিনি পাকিস্তানে একজন 'গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি' হিসেবে অবাধে চলাফেরা করছিলেন এবং ক্রমাগত তীব্র 'ভারত-বিদ্বেষী' বক্তব্য রাখতেন।
২০১৪ সালে বিবিসি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে হাফিজ সাঈদ বলেছিলেন, আফগানিস্তানে ভারতের সহায়তা লাভের জন্য আমেরিকা তাকে টার্গেট করেছে।