ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে দিল্লির সাবেক মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী গ্রেফতার

সন্দীপ কুমার
ছবির ক্যাপশান,

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রী সন্দীপ কুমারকে বরখাস্ত করা হয়

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ওই রাজ্যের সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সন্দীপ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মন্ত্রী থাকা কালেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ ওঠার পর মি. কুমারকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার তিনদিন পরেই তাকে গ্রেফতার করা হলো।

সন্দীপ কুমারের বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের একটি ভিডিও ফুটেজ টেলিভিশনে ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়।

ভিডিওটিতে বিবাহিত ও এক সন্তানের পিতা মি. কুমারকে দেখা যায় আন্ডারওয়্যার পরিহিত অবস্থায় তিনি বিছানায় শুয়ে একজন নারীকে চুমু খাচ্ছেন।

টিভি চ্যানেলে ওই ভিডিওটির সামান্য কিছুই দেখানো হয়েছে। কিন্তু বলা হচ্ছে, ওই ভিডিওতে তাদের যৌন সম্পর্কের দৃশ্যও রয়েছে।

ভিডিওটিতে যে নারীকে দেখা যায় তিনি বলেছেন, বছর খানেক আগে এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং তার অজান্তেই এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।

তার অভিযোগ, পানীয়ের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, সেসময় মন্ত্রী তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া ও সরকারের বেনিফিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কিন্তু বিবাহিত এই নারী এখন সন্দীপ কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। এর ফলে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখন ফৌজদারি মামলাও হতে পারে।

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হলো।

ছবির ক্যাপশান,

ভারতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিক্রিয়া গত কয়েক বছরে জোরালো হয়েছে

মি. কুমার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, ভিডিওটি বানানো।

সন্দীপ কুমার আম আদমি পার্টির একজন নেতা।

এএফপি বলছে, দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই ন'মিনিটের এই ভিডিও ফুটেজটি টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে পাঠিয়েছিলেন।

এবং তার পরপরেই তিনি তাকে দিল্লির মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করেন।

এই দলটি রাজনীতিতে দুর্নীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে জনগণের ব্যাপক সমর্থন আদায় করেছে।

দলটি দাবি করেছিলো তাদের নেতারা সৎ, নীতিবান ও দুর্নীতিমুক্ত।

মি. কুমারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর আম আদমি পার্টি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।

এই অভিযোগটি এমন এক সময়ে আসলো যখন রাজধানী দিল্লিসহ সারা ভারতেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে বড়ো রকমের সামাজিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।