বাড়তি ও কঠোর নিরাপত্তায় শুরু হচ্ছে এবছরের হজ

হাজীদেরকে এবছর মুখোমুখি হতে হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান,

হাজীদেরকে এবছর মুখোমুখি হতে হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার

হজ করার জন্যে ১৫ লাখের মতো মুসলিম সৌদি আরবে জড়ো হতে শুরু করেছে।

গত বছরের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে এবছর এই হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। এজন্যে নতুন নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যেমন কাবা শরীফের দুই কিলোমিটারের মধ্যে যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাজীদেরকে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট, যাতে তাদেরকে খুব দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

হাজীদের এবার বিশেষ একটি পরিচয় বহন করতে হবে যা বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ পরীক্ষা করে দেখবে।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মক্কায় প্রাথমিক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজীরা বাসে করে, ট্রেনে চেপে কিম্বা পায়ে হেঁটে তিন মাইল দূরের মিনা শহরের দিকে অগ্রসর হবেন।

এবছর মিনায় প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।

হজের সময় মুসল্লিরা কাবা শরীফের সোনালী দর্জা স্পর্শ করেন

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান,

হজের সময় মুসল্লিরা কাবা শরীফের সোনালী দর্জা স্পর্শ করেন

শনিবার হজের প্রথম দিন। রবিবার অগ্রসর হবেন কয়েক কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানের দিকে। এখানেই সম্পন্ন হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

মিনায় খাটানো হয়েছে তাঁবুর পর তাঁবু। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ২৫ লাখের মতো মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারেন।

গত বছরের হজের সময় হুড়োহুড়িতে পায়ের নিচে চাপা পরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সংবাদদাতারা বলছেন, সৌদি আরব শুরু থেকেই এই সংখ্যাকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে।

হজের ইতিহাসেই এতো বড়ো দুর্ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

তাদের অনেকেই ইরানের।

বিশ্বে সবচে বড়ো ধর্মীয় সমাবেশগুলোর একটি এই হজ

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান,

বিশ্বে সবচে বড়ো ধর্মীয় সমাবেশগুলোর একটি এই হজ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটো দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধের সৃষ্টি হয়।

দুর্ঘটনার জন্যে ইরান সৌদি আরবের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটিকে দায়ী করে।

এর ফলে ইরান থেকে হজ করতে এবছর কেউ সৌদি আরবে যেতে পারছে না।

সৌদি সরকার বলছে, ইরান এই দুর্ঘটনাটিকে ঘিরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

হজের সময়কার একটি দৃশ্য

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান,

হজের সময়কার একটি দৃশ্য