'সন্ত্রাসের আখড়া তৈরি করেছে পাকিস্তান' - ভারত

ছবির উৎস, AP
জুলাই থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে সহিংসতা চলছে
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় ভারত এক বিবৃতিতে বলেছে প্রাচীন ইতিহাসের শিক্ষার পীঠস্থানকে সন্ত্রাসের আখড়া বানিয়েছে পাকিস্তান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বুধবার রাতের ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরে ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।
ভারত শাসিত কাশ্মীরে যে সহিংস বিক্ষোভ এখন চলছে, তাকে মি শরীফ ফিলিস্তিনদের 'ইন্তিফাদা' বা গণ-আন্দোলনের সাথে তুলনা করেন। জুলাইতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরি যুবক বুরহান ওয়ানীকে তিনি সেই ইন্তিফাদার নেতা হিসাবে বর্ণনা করেন।
বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা তৈরির জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
তার এই ভাষণ শেষ না হতেই ভারত তীব্র ভাষায় মি শরীফ এবং পাকিস্তানের পাল্টা সমালোচনা শুরু করেছে।
জাতিসংঘে ভারতীয় মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, যে জনপদ একসময় শিক্ষার মহান ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিলো তা এখন সন্ত্রাসের আখড়া হয়ে উঠেছে (আইভি লীগ অব টেররিজম)।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশী সাহায্য ব্যয় করে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান।
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তার জবাবে ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সন্ত্রাস সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন।"
সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাষণের পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে প্রশংসা কুড়চ্ছেন মি শরীফ।
টুইটারে আদিল আলী খান নামের একজন লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী শরীফ আজ আমাদের গর্বিত করেছেন।" এই টুইটের সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন শত শত মানুষ।
অন্যদিকে ধিক্কার উঠছে ভারতে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইট করেছেন - "হিজবুত সন্ত্রাসী বুরহান ওয়ানীর প্রশংসা করে মি শরীফ প্রমাণ করেছেন পাকিস্তান সন্ত্রাস সমর্থন করে চলেছে।" একই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবর।
রাহুল নামে একজন টুইট করেছেন, "জাতিসংঘে নওয়াজ শরীফের ভাষণ সম্ভবত লশকর-ই-তইবার নেতা হাফিজ সাইদের লিখে দেওয়া।"