বিশ্বের বিপদজনক রাস্তায় দ্রুত গাড়ি চালানোর রেকর্ড

ছবির উৎস, China News Service
চীনে এই রাস্তাটি পরিচিত 'বিশ্বের বিস্ময়কর সড়ক' হিসেবে
পৃথিবীতে বিপদজনক যতো রাস্তা আছে তার একটি চীনের টংটিয়ান রোড। চীনে এই রাস্তাটি পরিচিত 'বিশ্বের বিস্ময়কর সড়ক' হিসেবে।
রাস্তাটি বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে বহু জায়গায় আকস্মিক বাঁক নিয়ে অনেক উপরে উঠে গেছে।
চীনের হুনান প্রদেশে এই রাস্তাটি লম্বায় ১১ কিলোমিটার বা ৬.৮ মাইল।
ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তাটি সবচেয়ে কম সময়ে পার হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন ইতালিয়ান এক ড্রাইভার।
ফাবিও ব্যারোন পুরো রাস্তাটি পাড়ি দিয়েছেন মাত্র ১০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে।
কেন বিপদজনক এই রাস্তা?
টংটিয়ান রোডটি চীনের তিয়ানমেন পর্বতে।
পাহাড় পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উঠে গেছে উপরের দিকে।
এই রাস্তাটিতে আছে ৯৯টি কঠিন বাঁক।
এই বাঁকগুলো এতোই প্রখর যে যেকোনো সময়ে গাড়ি পাহাড়ের ওপর থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারে।
এই বাঁক কোথাও কোথাও পাহাড়ের কিনার ঘেঁষে ১৮০ ডিগ্রি। অর্থাৎ গাড়িটি যেদিকে যাচ্ছিলো হঠাৎ করেই তার উল্টো দিকে চলতে শুরু করবে।
ছবির উৎস, China News Service
বেশিরভাগ বাঁকই ১৮০ ডিগ্রি
ছবির উৎস, China News Service
ইতালিয়ান চালক মি. ব্যারোন
রাস্তাটি পাহাড়ের যে পাদদেশ থেকে উঠেছে ওই জায়গাটি সমুদ্র থেকে ২০০ মিটার উপরে। আর উপরের দিকে এটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১,৩০০ মিটার উঁচুতে।
পাহাড়ের ওপর সাপের মতো পেঁচানো এই রাস্তাটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় সাত বছর।
পাহাড়ের গা বেয়ে রাস্তাটি এমনভাবে উপরের দিকে উঠে গেছে, দেখে মনে হবে একটি ড্রাগন আকাশের দিকে উড়ে যাচ্ছে।
ফেরারি গাড়ি চালিয়ে এই পুরো রাস্তাটি শেষ করেছেন ইতালিয়ান এই চালক।
এজন্যে তার এই গাড়িটিতে বিশেষভাবে কিছু জিনিস বদলে নিতে হয়েছে।
গাড়িটিতে ধাতব পদার্থের পরিবর্তে কার্বন ফাইবারের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে ওজন কমানো হয়েছে।
পাহাড়ি রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে ইতোমধ্যেই নাম কুড়িয়েছেন মি. ব্যারোন।
এর আগেও রোমানিয়ার ট্রান্সস্যালভেনিয়ান আল্পসের একটি পর্বতের ওপর তৈরি করা রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়িয়ে চালিয়ে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: ট্রাম্প, বাইডেন আর ভারতীয় ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন
বলতে গেলে, পুরো সপ্তাহ বিশ্বের চোখ ছিল আমেরিকার দিকে, যেখানে সাম্প্রতিক কালের সব চেয়ে বিতর্কিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে নতুন রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।