নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে সুইজারল্যান্ডে গণভোট

ছবির উৎস, EPA
কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ সন্দেহভাজনদের ওপর নজর রাখতে এই নজরদারির প্রয়োজন আছে
সুইজারল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নজরদারি করার ব্যাপারে নতুন করে ক্ষমতা দেওয়া হবে কিনা এই প্রশ্নে ভোটাররা এক গণভোটে অংশ নিয়েছেন।
গণভোটে নতুন আইনটির পক্ষে ভোট পড়লে গোয়েন্দারা এখন টেলিফোনে আড়ি পাততে পারবে, ইমেলের ভেতরে ঢুকে পড়তে পারবে এবং বসাতে পারবে গোপন ক্যামেরা।
এর পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা বলছেন, এই আইনটি গৃহীত হলে সুইজারল্যান্ড অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।
তবে যারা এর বিরোধিতা করছেন, তাদের আশঙ্কা এর ফলে নাগরিকদের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে।
তাদের বক্তব্য- এর ফলে সুইজারল্যান্ডের যে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি রয়েছে সেটাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। কারণ এর ফলে দেশটিকে অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
জিএফএস বের্ন নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের করা জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ৫৫% ভোটার এর পক্ষে ভোট দেবেন।
আর এরকম হলে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আদালত, প্রতিরক্ষা বিভাগ কিম্বা মন্ত্রী পরিষদের অনুমতির ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক নজরদারিতে রাখতে পারবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নজরদারির ব্যাপারে নতুন যে আইন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেটা যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য বড় দেশগুলোর গুপ্তচরবৃত্তির সাথে তুলনা-যোগ্য নয়।
সুইজারল্যান্ডে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বর্তমানে সাধারণ তথ্য ও বিদেশি কর্মকর্তাদের দেওয়া টিপসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
নজরদারির ব্যাপারে নতুন এই আইনটি পাস হয়েছে গত বছর।
কিন্তু বিরোধীরা আপত্তি জানিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রচুর স্বাক্ষর সংগ্রহ করার পর সরকার এবিষয়ে গণভোটের আয়োজন করতে বাধ্য হয়।
সুইজারল্যান্ডের সংবিধানের কারণে দেশটিতে প্রায়শই নানা ধরনের জাতীয় ইস্যুতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: আল জাজিরা নিয়ে 'একপেশে' আর চীন-ভারত নিয়ে দ্বিচারিতা?
বাংলাদেশে আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে আলাপ-আলোচনার মনে হচ্ছে কোন শেষ নাই।