সৈয়দ শামসুল হককে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন সর্বস্তরের মানুষ

সৈয়দ হক, বাংলা সাহিত্য

ছবির উৎস, ফোকাস বাংলা

ছবির ক্যাপশান,

'সব্যসাচী লেখক' সৈয়দ শামসুল হক

বাংলাদেশে সব্যসাচী লেখক হিসেবে পরিচিত কবি-নাট্যকার-ঔপন্যাসিক-গীতিকার সৈয়দ শামসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে আজ। এজন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।

এর আগে ঢাকার বাংলা একাডেমিতে নেয়া হয় তার মরদেহ।

বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এই সাহিত্যিক ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে ৮১ বছর বয়সে গতকাল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সর্বস্তরের জনগণ তার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান। তার মরদেহ কুড়িগ্রামে দাফন করা হবে।

ছবির উৎস, SHYADUL ISLAM

ছবির ক্যাপশান,

প্রয়াত সাহিত্যিক সৈয়দ হককে শ্রদ্ধাজানান সর্বস্তরের মানুষ।

প্রচুর উপন্যাস, কবিতা, নাটক ও গান লিখে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন।

সৈয়দ শামসুল হক সত্তরের দশকে বিবিসি বাংলায় প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন।

পঞ্চাশের দশকে মূলত কবি ও গল্পকার হিসেবে তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা হলেও, ১৯৭০ ও ৮০র দশকে তিনি বিশেষ করে বাংলা নাটকের ক্ষেত্রে একজন বড় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।

সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণের কারণে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন সব্যসাচী লেখক হিসেবে।

ছবির উৎস, SHYADUL ISLAM

ছবির ক্যাপশান,

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন অনেকেই।

তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে অন্তর্গত, বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ, তুমি সেই তরবারি, খেলারাম খেলে যা।

কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পরাণের গহীন ভিতর, বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা।

নাটকের মধ্যে রয়েছে নুরলদীনের সারাজীবন, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়।

বহু সিনেমার কাহিনী এবং গানও লিখেছেন তিনি। উপস্থাপনা করেছেন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানও।