কল্যাণপুরে নিহত নয় জঙ্গির লাশ দাফনের জন্য হিমঘর থেকে হস্তান্তর

ছবির উৎস, BANGLADESH POLICE
কল্যাণপুরে অভিযানের পর নিহতদের আস্তানায় অস্ত্র ছাড়াও ইসলামিক স্টেটের পতাকা পাওয়া যায়
বাংলাদেশে গুলশান হামলার জঙ্গিদের পর এবার কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের লাশ দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কল্যাণপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মৃতদেহ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই অভিযানের দুই মাস পর নিহতদের লাশ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কাছে তুলে দেয়া হলো।
বিবিসি বাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ।
এরপর স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সদস্যরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করবেন। জুরাইন কবরস্থানে এই নয়জনের লাশ দাফন করা হবে বলেও জানা গেছে।
কল্যাণপুরে গভীর রাতে চালানো অভিযানের পরদিন ময়নাতদন্ত কার্যক্রমের পর থেকে দুই মাস ধরে লাশ ডাকা মেডিকেলের হিমঘরে ছিল। সোহেল মাহমুদ জানান, "পরিবারের সদস্যরা কেউ লাশ নিতে যোগাযোগ না করায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে লাশগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে"।

ছবির উৎস, BANGLADESH POLICE
কল্যাণপুরে তাজ মঞ্জিল নামে বাড়িটির কক্ষ ভাড়া নিয়ে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল নিহত নয়জন। তারা এবং গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা একই গ্রুপের সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
ঢাকার গুলশানে এবং পরে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পুলিশের ধারাবাহিক তল্লাশি অভিযানের অংশ হিসেবে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। এরপর 'অপারেশন স্টর্ম ২৬' নামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই নয়জন নিহত হয়।
নিহত নয়জনের মধ্যে একজন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানের নাতি বলে পরে জানা যায় । বাকিরা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা। তাদের মধ্যে হত-দরিদ্র পরিবারের সদস্যও যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানও।
এর আগে গুলশান হামলার ঘটনায় সেনা অভিযানে নিহত জঙ্গিদের লাশ জুরাইন গোরস্থানে দাফন করা হয় গত ২৩শে সেপ্টেম্বর। প্রায় তিনমাস ধরে হাসপাতালের হিমঘরে থাকার পর আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে রেস্তোরার একজন কর্মীসহ ছয়জনের লাশ দাফন করা হয়।