বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই স্বামীর নির্যাতনের শিকার: জরিপ

ছবির উৎস, Getty Images
পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই জরিপ বলছে, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ১৫.৮% নিজের উপার্জন করা অর্থ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে খরচ করতে পারে না।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশটির নারীদের উপর এক জরিপ চালানোর পর বলছে, বিবাহিত নারীদের মধ্যে শতকরা ৭২.৬ জনই জীবদ্দশায় কখনো না কখনো স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এদের একটি বড় অংশকেই নির্যাতন করা হয়েছে নানা ধরণের নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে।
শারীরিক ভাবে নির্যাতনের হারও কম না।
জরিপটি গত বছরের অগাস্ট মাসে সারা বাংলাদেশ জুড়ে চালানো হয়।
রবিবারই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, বিবাহিত নারীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই স্বামী কর্তৃক শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
আর অর্ধেকের বেশী, অর্থাৎ ৫৫% হয়েছেন নিয়ন্ত্রণের শিকার, যেটাকে এখন একটি নির্যাতন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ, মানসিক নির্যাতন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনকে এবারই প্রথম নারীর প্রতি সহিংসতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার।
তিনি বলেন, এ ধরণের নির্যাতনই বাংলাদেশের নারীদের উপর বেশী হচ্ছে।
কি করলে নিয়ন্ত্রণমূলক নির্যাতন হবে জানতে চাইলে মি. সরদার বলছেন, 'স্ত্রী বাইরে যেতে চাইলে তাতে বাধা দেয়া। ইচ্ছে-অনিচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা"।
"এটাকে বাংলাদেশ কখনোই সহিংসতা হিসেবে দেখত না। কিন্তু জাতিসংঘ এটাকে সহিংসতা হিসেবে দেখে"।
এছাড়া বিবাহিত নারীদের মধ্যে ২৮.৭% মানসিক নির্যাতনের এবং ১১.৪% অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয় বলেও জরিপের ফলাফলে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: যৌন অপরাধীর পরিচয় আর নারী কাজি নিয়ে প্রশ্ন
গণমাধ্যমে নিহত মেয়ে এবং অভিযুক্ত ছেলে, দু'জনেরই নাম-ঠিকানা এমনকি ছবি প্রকাশ পাওয়ায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন।