কলম্বিয়ায় গণভোটে শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান

ছবির উৎস, Getty Images
একজন না ভোটার
কলম্বিয়ায় কম্যুনিস্ট বিদ্রোহ শুরু হয়েছিলো ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে, শীতল যুদ্ধের সময়।
পাঁচ দশকের এই গৃহযুদ্ধে ২৬০,০০০ মানুষ মারা গেছে।
যুদ্ধ বন্ধে গত চার বছর ধরে কলম্বিয়ার সরকার এবং কম্যুনিস্ট গেরিলা গোষ্ঠী ফার্কের মধ্যে মীমাংসা আলোচনা চলেছে।
তারপর গত সপ্তাহে বিশ্বের নানা দেশ থেকে অতিথিদের সামনে প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস এবং বিদ্রোহী নেতা তিমোলিনো হিমনেজেস শান্তি চুক্তিতে সই করেন। তবে শর্ত ছিলো এই চুক্তি গণভোটে পাশ হতে হবে।
বিভিন্ন জনমত জরীপে বলা হচ্ছিলো ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শান্তি চুক্তি সমর্থন করছে। দেশের মূলধারার সব রাজনৈতিক দলই চুক্তির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে।
কিন্তু বিস্ময়কর-ভাবে সিংহভাগ ভোটার শান্তিচুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে পড়েছে ৫০.২ শতাংশ ভোট, পক্ষে ৪৯.৮ শতাংশ।
ছবির উৎস, AFP
না ভোট দিয়েছেন ৫০.২ শতাংশ ভোটার
কেন এই প্রত্যাখ্যান?
শান্তি চুক্তি বিপক্ষে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের কথা হলো এই চুক্তির ফলে এত দিনে ধরে হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে বিদ্রোহীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু দুপক্ষেরই যারা অপরাধে লিপ্ত ছিলো বিশেষ আদালতে তাদের বিচারের কথা চুক্তিতে রয়েছে।
তবে, যারা অপরাধ স্বীকার করবে তাদের শান্তি কমিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। এমনকী তাদের কারাভোগ না করার সুযোগও রাখা রয়েছে।
সংবাদদাতারা বলছেন, এই শর্তই কলম্বিয়ার বহু মানুষ মেনে নিতে পারেনি।
এছাড়া, ফার্ক গেরিলাদের মাসে মাসে ভাতা দেওয়া, এমনকী ব্যবসা করতে চাইলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিধানেও বহু মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে।
ছবির উৎস, Getty Images
উল্লাস করছেন শান্তিচুক্তির বিরোধীরা
পরিণতি কী হবে?
গণভোটের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছেন প্রেসিডেন্টে সান্তোস।
তিনি বলেছেন, সরকারি বাহিনী এবং ফার্ক গেরিলাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বলবত থাকবে। আজ (সোমবার) তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকে বসছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে পরামর্শ করতে তিনি কিউবা যাবেন।
বিদ্রোহী নেতা তিমোলিনো হেমেনেজেস বলেছেন, শান্তির ব্যাপারে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। "আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।"