নির্যাতন যন্ত্র রপ্তানি বন্ধে আইন কঠোরের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ইওরোপীয় পার্লামেন্ট

দক্ষিণ সুদানে বন্দীর পায়ে বেড়ি। সংঘাত চলছে যেখানে নির্যাতনের ঘটনাও সেখানে বেশি।

ছবির উৎস, এএফপি

ছবির ক্যাপশান,

দক্ষিণ সুদানে বন্দীর পায়ে বেড়ি। সংঘাত চলছে যেখানে নির্যাতনের ঘটনাও সেখানে বেশি।

ইওরোপীয় পার্লামেন্ট ঐ অঞ্চল থেকে নির্যাতনের যন্ত্রপাতি অন্যত্র রপ্তানির ওপর আইন আরো কঠোর করার এক প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।

স্ট্রাসবুর্গে এই সংসদের এক ভোটে ইওরোপের নির্যাতন-বিরোধী আইন ২০০৫ সালের দুর্বলতাগুলো সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়।

ইওরোপের সরকারগুলো এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে।

নির্যাতন যন্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক শক দেয়ার যন্ত্র, নানা ধরনের শেকল এবং হাতে ব্যথা লাগে এমন হ্যান্ডকাপ।

নতুন আইনে প্রাণদণ্ডে ব্যবহৃত রাসায়নিক ওষুধ এবং নির্যাতনের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এমনকি নির্মাতারা এসব যন্ত্রপাতির ওপর কোন বিজ্ঞাপনও প্রচার করতে পারবেন না।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোর সরঞ্জামের একটি বড় ধরনের বাজার রয়েছে।

ইওরোপে এখন আইন কঠোর হওয়ার ফলে এই 'লজ্জাজনক ব্যবসা' বন্ধে আরো একধাপ অগ্রগতি হলো বলে সংস্থাটি বলছে।