আত্মসমর্পন করা জঙ্গীদের নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ

ছবির উৎস, Focus Bangla
বগুড়ায় আত্মসমর্পণকারী এক কথিত জঙ্গীর হাতে চেক তুলে দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েকটি জঙ্গী ইসলামী সংগঠনের কর্মীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লক্ষ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।
বুধবার বগুড়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের উপস্থিতিতে নিষিদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠী জামাতুল মোজাহেদিনের দুজন কথিত সদস্য আত্মসমর্পন করে। এদের একজন আবদুল হাকিম, যাকে গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারী খায়রুল ইসলাম পায়েলের বন্ধু বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। আত্মসমর্পনকারী অপরজনের নাম মাহমুদুল হাসান।
এর আগে যশোরেও একই ভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল নিষিদ্ধ আরেকটি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের তিন সদস্য।
আত্মসমর্পণ করা এই সাবেক জঙ্গীদের নিয়ে সরকার এখন কী করবে? বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল এ নিয়ে কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, "আত্মসমর্পণকারী জঙ্গীরা যদি ইতোমধ্যে কোন অন্যায় করে থাকেন, কোন হত্যাকান্ডে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে। আর যদি না করে থাকে, তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কি থেকে কি করা যায়।"
ছবির উৎস, Focus Bangla
আত্মসমর্পণকারী জঙ্গীদের নিয়ে কি করা হবে তা এখনো পরিস্কার নয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, "এরা আত্মগ্লানিতে ভুগছে। এরা ফিরে এসেছে, সেটাই বড় কথা। এখন এদের যদি কাউন্সেলিং এর দরকার হয়, চিকিৎসার দরকার হয়, মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য প্রয়োজন হয়, যা যা দরকার, সবই আমরা করবো। আমরা চাই এরা মূল রাস্তায় ফিরে আসুক।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা কাউকে অন্যায়ভাবে শাস্তিও দিতে চাই না, কাউকে পৃষ্ঠপোষকতাও করতে চাই না। এরা যাতে সুস্থ পথে ফিরে আসে, সেজন্যে যা করার দরকার, আমরা তাই করবো।"