ব্রিটিশ রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন টনি ব্লেয়ার

ছবির উৎস, PA
টনি ব্লেয়ার রাজনীতি ছেড়েছেন প্রায় এক দশ আগে
ব্রিটেনকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারেন।
'ইস্কোইয়ার' ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টনি ব্লেয়ার বলেন, ব্রিটেন যেভাবে তাঁর ভাষায় 'এক দলীয় রাষ্ট্রে' পরিণত হচ্ছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন।
টনি ব্লেয়ার ২০০৭ সালে ব্রিটিশ রাজনীতি থেকে অবসরে যান।
জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি যে পথে যাচ্ছে, টনি ব্লেয়ার তার কড়া সমালোচক।
টনি ব্লেয়ার তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ব্রিটিশ রাজনীতিতে মধ্যপন্থীরা যেরকম বিপদের মধ্যে আছে, তাতে তিনি নতুন করে তাঁর ভবিষ্যত এবং এক্ষেত্রে তিনি কী ভূমিকা পালন করতে পারেন তা নিয়ে ভাবছেন।
টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে ব্রিটেনের লেবার পার্টি পর পর তিনটি নির্বাচনে জয়ী হয়।
কিন্তু ২০০৩ সালে ব্রিটেনকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেয়ার পর টনি ব্লেয়ার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। লেবার পার্টির অনেক সমর্থক এবং ব্রিটেনের অনেক মানুষ মিস্টার ব্লেয়ারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে ব্রিটেনে এবছর যে সরকারি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে টনি ব্লেয়ারের সমালোচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে টনি ব্লেয়ার দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি নানারকম ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাজে যুক্ত থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: আল জাজিরা নিয়ে 'একপেশে' আর চীন-ভারত নিয়ে দ্বিচারিতা?
বাংলাদেশে আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে আলাপ-আলোচনার মনে হচ্ছে কোন শেষ নাই।