মসুল শহরকে আই এসের দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযান শুরু

ছবির উৎস, Getty Images
মসুলের দিকে এগুচ্ছে সাঁজোয়া যানের বহর
ইরাকে ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা মসুল শহরটিকে মুক্ত করতে গত রাত থেকে এক অভিযান শুরু করেছে সরকারি বাহিনী।
প্রায় ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে চালানো এ অভিযানে ইরাকের সরকারি বাহিনী ছাড়াও আরো যোগ দিয়েছে কুর্দি পেশমার্গা এবং আন্তর্জাতিক মিত্র বাহিনী।
সোমবার ভোর থেকে আইএসের অবস্থানগুলোর ওপর কামানের গোলাবর্ষণ শুরু হয়। এখন শহরটির দিকে ট্যাংক বহরগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।
পথে এর মধ্যেই অন্তত পাঁচটি গ্রাম কুর্দি সৈন্যরা দখল করেছে।
ছবির উৎস, Getty Images
ইরাকে বাহিনীর ট্যাংক
২০১৪ সাল থেকেই এই উত্তরাঞ্চলীয় শহরটি আই এসের দখলে।
মসুল শহরে অন্তত আট হাজার আই এসের যোদ্ধা রয়েছে বলে মনে করা হয়। একজন পেশমার্গা কম্যান্ডার বলেছেন - রামাদি, তিকরিত এবং বাইজির পতনের পর সেখানকার আইএস যোদ্ধারা পালিয়ে মসুলে অবস্থান নিয়েছে।
ইরাকি নিরাপত্তা সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, পেশমার্গা বাহিনী মসুলের পূর্ব দিকে হামদানিয়া জেলার কারাকোশ এবং বারটিলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এখানে লড়াইয়ে আইএসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে একজন সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
ছবির উৎস, Getty Images
মসুলের কাছে তেলক্ষেত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে আইএস
মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো আকাশ থেকে আই এস অবস্থানগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
মসুল হচ্ছে ইরাকে আই এসের দখলে থাকা সবশেষ বড় শহর। শহরটির প্রায় ৩৭ মাইল দক্ষিণে কাইয়ারায় একটি বিমানঘাঁটি থেকে এ আক্রমণ পরিচালিত হচ্ছে।
মসুল শহর থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, শহরের জীবনযাত্রায় এখন পর্যন্ত লড়াইয়ের কোন প্রভাব পড়েনি। দোকানপাট খোলা রয়েছে। আই এসের যোদ্ধারা শহর কেন্দ্র ছেড়ে উপকণ্ঠের দিকে লড়াইয়ে যোগ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ছবির উৎস, Getty Images
মসুলের কাছে ইরাকী বাহিনীর অবস্থান
মসুল শহরের দিকে এই অভিযানের প্রেক্ষাপটে শহরটির ভেতরে থাকা প্রায় ১৫ লাখ লোকের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, মসুল পুনর্দখলের এই অভিযান হবে দুরূহ, এবং এতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে।
জুন মাস থেকেই মসুল পুনর্দখলের এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সরকারি বাহিনী।