'বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমলেও গরীব মানুষের সামাজিক অবস্থা বদলায়নি'
- কাদির কল্লোল
- বিবিসি বাংলা, ঢাকা

ছবির উৎস, Getty Images
শহর এবং অন্যত্রও হতদরিদ্রদের অবস্থা পাল্টাচ্ছে না
সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ১৮দশমিক পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হতদরিদ্র এবং নগরে দরিদ্র্র জনগোষ্ঠীর সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না।
ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় রেললাইনের পাশে পলিথিন টানিয়ে অন্য অনেক পরিবারের সাথে বসবাস করেন জামালপুরের মঞ্জুরি বেগম। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে চাষের জমি-ভিটে হারিয়ে বিধবা এই নারী
দুই কন্যা নিয়ে ঢাকায় এসেছেন গত বছর।এখন মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাদের নিয়মিত খাবার জোটে।কিন্তু সামাজিক অধিকারগুলো তারা পাচ্ছেন না।
ছয় মাস হলো ঢাকার রাস্তায় রিক্সা চালিয়ে আয় করছেন মাদারীপুরের হায়দার আলী।পরিবারের সদস্যদের গ্রামেই রেখেছেন।পেটে ভাতে চলতে পারছেন—তাঁরও এটুকুই সান্তনা।
বিশ্ব্যব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দুই দশকে বাংলাদেশে দুই কোটি মানুসকে দারিদ্র অবস্থা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।
ছবির উৎস, Getty Images
নগরের দরিদ্ররা খাদ্য পেলেও শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বঞ্চিত হচ্ছে
দেড় দশক আগের তুলনায় কর্মজীবী নারীর সংখ্যা এখন দ্বিগুন হয়েছে।মাতৃমৃত্যু এবং শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তবে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান মনে করেন, হতদরিদ্র বা দরিদ্র মানুষ নগরগুলোতে জড়ো হয়ে আয়ের সুযোগ পাচ্ছে।কিন্তু তারা পড়ছে ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে।
"অতিদরিদ্র বা দরিদ্র কেউ ঢাকা বা বড় শহরে এসে রিক্সা চালানোসহ অনেক কাজের সুযোগ পাচ্ছে।এতে তাদের প্রতিদিনে খাবার যোগাড়ের অর্থ হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা,চিকিৎসা,বাসস্থানসহ সামাজিক অধিকারগুলো তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা একটা ভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।"
চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন পকেট এলাকায় এখনো প্রায় দুই কোটি হতদরিদ্র রয়েছে। এই সংখ্যাটা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয় এবং এ ব্যাপারে সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সকলের নজর বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ ।
হতদরিদ্র এবং দরিদ্র, সকলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য শামসুল আলম দাবি করেছেন,তাদের এসব ব্যবস্থা সফল হচ্ছে।