ইরাকের মসুলে 'অগ্রগতি হয়েছে' ইরাকি বাহিনীর

ছবির উৎস, AFP
দক্ষিণ দিক থেকে মসুলে প্রবেশ করছে ইরাকি সেনাবাহিনী
ইরাকের মসুলে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণের প্রথম দিনে ইরাকি বাহিনী এবং কুর্দি অনিয়মিত যোদ্ধাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই আক্রমণে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান।
পেন্টাগন বলছে, প্রথম দিনের লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে।
মসুল পুনরুদ্ধারে প্রথম দিনে ভাল অগ্রগতি হলেও জিহাদিদের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে খুবই কম এবং বিশ্লেষকরা বলছে, এখনো পর্যন্ত অর্জন অনেকটাই প্রতীকী।
পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, মসুলের লড়াই শেষ হতে বেশ সময় লাগতে পারে কারণ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট রুখে দাড়িয়ে লড়াই করবে কিনা তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে মসুল অভিযানে কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধা এবং ইরাকি বাহিনীর যৌথ অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরাকি কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বার্জানি। ইরবিলের কাছে খাজির শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আইএসের হাত থেকে অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মি. বার্জানি এখানে বলছেন, এখনো পর্যন্ত ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা স্বাধীন হয়েছে। এটি মসুল অভিযানের প্রথম ধাপ। এখানে প্রথমবারের মত সন্ত্রাসী সংগঠন, দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকি সেনাবাহিনী এবং পেশমের্গা যোদ্ধাদের রক্ত মিশ্রিত হচ্ছে। আমি আশা করি উভয়পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের এটি একটি ভাল সূচনা।
ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল আইএসের দখলে যায় ২০১৪ সালে।

ছবির উৎস, AFP
বেসামরিক নাগরিকরা মসুলে আটকা পড়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে
জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান, আবু বকর আল বাগদাদি এরপর তার তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার জন্য মসুলকেই বেছে নেন। একারণে মসুল পুনরুদ্ধারের একটি প্রতীকী মূল্যও রয়েছে বলে মনে করছে পেন্টাগন।
কয়েক মাসের দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ইরাকি, কুর্দি এবং সুন্নি বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ৩০,০০০ যোদ্ধা ইরাকে আইএসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি, মসুলে অভিযান শুরু করে।
ধারণা করা হয় শহরটিতে এখনো ৪,০০০ থেকে ৮,০০০ আইএস যোদ্ধা অবশিষ্ট রয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, তারা মসুলে যুদ্ধের কারণে ঘরহারা মানুষদের জন্য আরো আশ্রয় শিবির তৈরি করছে।
তারা বলছে, এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার মত তাঁবু ও খাদ্য রয়েছে।