জামায়াতের নতুন আমীর মকবুল আহমাদের 'যুদ্ধাপরাধ' অনুসন্ধান

ছবির উৎস, Jamaat e Islami
মকবুল আহমাদ
বাংলাদেশে জামায়াতের ইসলামের আমীর হিসাবে শপথ নেওয়ার চারদিনের মাথায় মকবুল আহমাদের "যুদ্ধাপরাধ" অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অনলাইনে প্রকাশিত খবরের সূত্রে এই অনুসন্ধান।
ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পর সোমবার দলের পূর্ণকালীন নেতা হিসাবে শপথ নেন মকবুল আহমাদ।
পরদিনই দু একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, মকবুল আহমাদ ১৯৭১ সালে ফেনী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতা-বিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন।
ঐ সংবাদের সূত্র ধরেই এখন মি আহমাদের সেই কথিত যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রদান আব্দুল হান্নান খান বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, একটি অনলাইন খবরে মি আহমাদের বিরুদ্ধে দুটো সুনির্দিষ্ট অপরাধের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তার সত্যতা তারা অনুসন্ধান করবেন।
মি খান জানান, অনুসন্ধানের জন্য গতকাল (বুধবার) একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
ছবির উৎস, AFP
হাইকোর্ট। এই চত্বরেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে।
'সে রাজাকার ছিলো'
"অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসে, যদি যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন মামলা করে তদন্ত করা হবে।'
তবে একইসাথে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান বলেন, "সে (মকবুল আহমাদ) যে রাজাকার ছিল, সেটা ঐ এলাকার তালিকায় রয়েছে। এটা ঠিক।"
ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমীর থাকলেও এখন কেন মকুবল আহমাদের বিরুদ্ধে এই অনুসন্ধান ? বিবিসির এই প্রশ্নে আব্দুল হান্নান খান বলেন, "এতদিন আমাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত ছিলনা। এখন অন্তত দুটো সুনির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ করা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, আইনে তাদের এ ধরণের অনুসন্ধান করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। "কারো মুখে কিছু শুনলেও আমরা তদন্ত করতে পারি।"
ছবির উৎস, Jamaat e Islami
জামায়াতে ইসলামী
জামায়াতের ক্ষোভ
মকবুল আহমাদের "যুদ্ধাপরাধ" অনুসন্ধানের এই উদ্যোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
দলের ওয়েব সাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে - ছয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত আমীর থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলনা। এখন শপথ নেওয়ার পরপরই এই অভিযোগ।
জামায়াত বলছে, দলের বিরুদ্ধে সরকারের "ষড়যন্ত্রের" অংশ হিসাবে এই অনুসন্ধান।