মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার ইরাক সফরে

ইরাক

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

মসুল শহরের দক্ষিণে যুদ্ধরত ইরাকি সরকারি বাহিনী

ইসলামিক স্টেটের দখল থেকে মসুলকে মুক্ত করতে ইরাকে এখন যে অভিযান চলছে, তার অগ্রগতি দেখতে সেখানে গেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার।

মসুল পুর্নদখলের জন্য এই লড়াই চলছে গত ছয়দিন ধরে। ইরাকের সরকারি বাহিনী কারাকোশ বলে একটি শহর দখল করে সেখানে তাদের পতাকা তুলেছে।

কিন্তু ইসলামিক স্টেটের দিক থেকে ইরাকী এবং কুর্দী বাহিনীকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মসুল পুনর্দখল করার অভিযান চালানো হচ্ছে দু'দিক থেকে। দক্ষিণ দিক থেকে ইসলামিক স্টেট অবস্থানগুলোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে ইরাকের সরকারি বাহিনী, আর পূর্বদিক থেকে অগ্রসব হচ্ছে কুর্দি পেশমার্গা যোদ্ধারা।

ইতিমধ্যে মসুলের ২০ মাইল দক্ষিণে কারাকোশ শহরে ঢুকেছে ইরাকি বাহিনী। সেখানে তারাইরাকি পতাকাও উড়িয়েছে। তবে শহরটি প্রায় জনশূন্য।

এখান থেকে মসুলের দিকে যাবার পথে মাইন পেতে রেখেছে আই এস যোদ্ধারা। তা ছাড়া তারা ইরাকী সৈন্যদের ওপর আত্মঘাতী আক্রমণ চালাচ্ছে।

তা ছাড়া আইএস যোদ্ধারা মসুলের দক্ষিণ দিকের একটি সালফার কারখানায় আগুন লাগিয়ে দিলে বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে আত্মরক্ষা করতে নিকটবর্তী একটি ঘাঁটির মার্কিন সৈন্যেদর গ্যাস মুখোশ পরতে হয়।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

মসুলের দক্ষিণে লড়াই

ইরাকে এখন ৪ হাজার ৮শরও বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে এবং মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা মসুল অভিযানে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছেন।

বিবিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টারের ইরাক সফরের লক্ষ্য হচ্ছে তুরস্ক যাতে মসুল অভিযানে একটা ভুমিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা। মি. কার্টার ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদী ও সামরিক কমান্ডারদেতর সাথেও বৈঠক করবেন ।

এ্যাশ কার্টার এর আগেই আংকারায় তুরস্কের নেতাদের সাথে একটি বৈঠক করেছেন।

কয়েকদিন আগেই তুরস্ক বলেছে যে ইরাকের এই অভিযানে তারাও শামিল হতে চায়। তবে তুরস্কের অংশগ্রহণ নিয়ে ইরাকের উদ্বেগ রয়েছে।

কারণ গত বছর উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে সুন্নি মুসলিম যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছিল শত শত তুর্কী সৈন্য। এর পর থেকে ইরাক ও তুরস্কের মতপার্থক্য সবার নজরে আসে।

মসুল পুনর্দখলের অভিযান নিয়ে সুন্নি তুর্কিদের ভয় রয়েছে যে - এর নেতৃত্বে আছে শিয়া মুসলিম এবং কুর্দিরা। তুরস্কের কথা হলো, সিরিয়া এবং ইরাকের কুর্দি যোদ্ধাদের সাথে তুরস্কের ভেতরকার কুর্দি জঙ্গী পিকেকের সম্পর্ক আছে।

অন্যদিকে তুর্কি সেনাবাহিনী উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে বাগদাদে উগ্র শিয়ারা বিক্ষোভও করেছে।