থাইল্যান্ডের রাজার মৃত্যুশোকের প্রভাব পর্যটন খাতে

ছবির উৎস, Getty Images
রাজার মৃত্যুর পর দোকানে গান বাজানো আপাতত নিষেধ
থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও, দেশটিতে শোকের আবহ এখনো কাটেনি।
প্রতিদিন রাজপ্রাসাদের সামনে দেশের দুরদূরান্ত থেকে মানুষজন শ্রদ্ধা অর্পন করতে আসছে, তেমনি পুরো দেশ জুড়ে চলছে নীরবতা।
কিন্তু তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন খাতে।
ব্যাংককে পর্যটকদের অন্যতম একটি থাকার এলাকা কলসন রোডে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা।
এ্ই কলসন রোডে পর্যটকদের কেউ কেউ রাজা ভুমিবলের মৃত্যুর আগেই থাইল্যান্ডে এসেছেন এবং পুরো পরিবর্তনটি চোখের সামনে দেখেছেন। তাদের কাছে মনে হচ্ছে, পুরো শহর যেন বদলে গেছে।
একজন পর্যটক বলছেন "এখন আর পার্টি, গান বা কনসার্ট হচ্ছে না, এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য বলে মনে হচ্ছে। এর আগেও আমি থাইল্যান্ডে এবং ব্যাংকক এসেছি। সাধারণত শহরটি কোলাহলমুখর থাকে। কিন্তু এখন যেন তা একেবারে বদলে গেছে"।
কিন্তু পর্যটনের উপর নির্ভরশীল থাইল্যান্ডের যে ব্যবসায়ীরা, তাদের সবারই এখন দুঃসময় যাচ্ছে।
ছবির উৎস, Getty Images
থাইল্যান্ডের রাজার মৃত্যুর পর তাঁর ছবির প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ
ব্যাংককের একটি উপহারের দোকানের মালিক বলছেন, তার ব্যবসা আগের তুলনায় অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছে।
তিনি বলছেন তার দোকানের বিক্রি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এরকম আরো অনেকদিনই চলবে বলে তিনি ধারণ করছেন। কারণ শোক চলার পুরো সময়টাতে দোকানে কোন গানবাজনা চালানো যাবে না।
তবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তেও দেশটির অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস, পর্যটন ব্যবসাকে ধরে রাখার কঠিন দায়িত্বটি বর্তেছে দেশটির পর্যটনমন্ত্রী কপকান অটেনাফাঙ্কুনের ওপর। তবে তিনি আশা করছেন এক মাসের শোককাল শেষ হওয়ার পর, সব আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
সুতরাং, কেউ যদি পার্টি বা আনন্দের খোঁজে থাইল্যান্ডে আসার পরিকল্পনা করেন, তার হয়তো সেই পরিকল্পনায় রদবদল করতে হবে।
তবে থাই সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং পর্যটকদের প্রিয় সব জায়গা আবার খুলে দেয়া হবে।