দিল্লি স্টাইল দিওয়ালি: দেখুন কার্টুনে

দিওয়ালি, হিন্দুদের সবচে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে বলা হয় ভারতের ক্রিসমাস। নানা ভাবে লোকজন এসময় আনন্দ করেন। কিন্তু একই সময়ে পরিবার নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। উপহার কিনতে ছুটতে হয় দোকানে, বাড়িঘর সাজাতে হয়, দিতে হয় জাঁকজমক সব পার্টি। দিল্লির মতো ভারতের আর কোথাও হয়তো দিওয়ালির এই জৌলুস চোখে পড়ে না।

কার্টুনিস্ট প্রিয়া কুরিয়ান কিছু কার্টুন এঁকে দেখিয়েছেন দিল্লিতে লোকজন কিভাবে দিওয়ালি উদযাপন করেন।

পার্টি

দিওয়ালির অন্তত দু'সপ্তাহ আগে থেকেই লোকজন পার্টি করতে শুরু করে। উত্তর ভারতে এবছর দিওয়ালি উদযাপিত হচ্ছে ৩০শে অক্টোবর। পার্টি দেওয়া নিয়ে দিল্লিতে মোটামুটি একটা প্রতিযোগিতা লেগে যায় যে কে সবচে জাঁকমজমকপূর্ণ পার্টি দিতে পারে। এসবের মধ্যে আছে কতো জোরে সদ্য মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবির গান বাজানো যায় তার একটা প্রতিযোগিতা শুরু করা।

অর্থের প্রদর্শনী

দিওয়ালির আরো একটি ট্র্যাডিশন হচ্ছে- জুয়া। প্রচুর মানুষ বিশ্বাস করেন যে দিওয়ালিরআগে জুয়ায় অর্থ জেতা সৌভাগ্যের লক্ষণ। তিন পাত্তি বা থ্রি কার্ডস হচ্ছে পোকারের স্থানীয় সংস্করণ। দিওয়ালির সময় খুব জনপ্রিয় এই খেলা। ছোট অংক থেকে শুরু করে বড় বড় অঙ্কেও হয় এই জুয়া। অনেকে তাদের গাড়ির চাবি পর্যন্ত বাজি ধরেন। এমনকি কখনো কখনো বাড়ির চাবিও।

উপরের কার্টুনটিতে দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ পাত্তি খেলতে রাজি। পাশে তার স্ত্রী, হিন্দিতে যা পত্নী।

চায়নিজ বয়কট? নাহ!

কোন কোন জাতীয়তাবাদী গ্রুপ সোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাচ্ছে দেশপ্রেমিক ভারতীয়রা যাতে দিওয়ালির সময় চীনা পণ্য বয়কট করেন। উদ্দেশ্য দেশী পণ্যকে প্রমোট করা। কিন্তু মনে হচ্ছে, তাদের আহবান খুব একটা কাজ করেনি। কারণ বাড়িঘর আলোকসজ্জার কাজে যে বাতি ব্যবহার করা হয় সেগুলো চীনা হলে সস্তায় কিনতে পাওয়া যায়। আর কে না জানে যে ভারতীয়রা দর কষাকষি করে সস্তায় জিনিস কিনতেই বেশি পছন্দ করেন।

চিনি, চিনি

আর একটা কথা না বললেই নয়, মিষ্টি (হিন্দিতে যা মিঠা) দিল্লির দিওয়ালির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে এসময় মিষ্টি পাঠানো একটি পুরনো সংস্কৃতি। আর যখন আপনার অফিস, মক্কেলম কাস্টমার সবাই এই মিষ্টি বিতরণে নেমে পড়েন তখন চারদিকে শুধু মিষ্টি আর মিষ্টি যা পরিহার করা খুবই কঠিন।

আর দূষণ

বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর একটি দিল্লি। কিন্তু তারপরেও লোকজনের গাড়ি নিয়ে দোকানে ঘোরাঘুরি বন্ধ হয় না। তবে যারা এই দূষণের ব্যাপারে সচেতন, তফাৎটা শুধু এই যে ওনারা মুখে একটা মুখোশ বা মাস্ক পরে নেন।