সবুজ চোখের সেই মেয়েটি ছাড়া পাচ্ছে

পেশোয়ারের কোর্টে শুনানির সময় শারবত গুল

ছবির উৎস, AFP PHOTO / FIA

ছবির ক্যাপশান,

পেশোয়ারের কোর্টে শুনানির সময় শারবত গুল

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রচ্ছদে ছবি প্রকাশের পর রাতারাতি জগৎ জুড়ে খ্যাতি পাওয়া সবুজ চোখের সেই আফগান মেয়েটিকে অবশেষে জেল থেকে ছাড়াবার একটা ব্যবস্থা হয়েছে।

নকল কাগজপত্র নিয়ে পাকিস্তানে বসবাসের দায়ে তাকে ক'দিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

শরণার্থী শিশু হিসেবে প্রচ্ছদে ছাপা শারবত গুলা'র সেই সবুজ শিকারি চোখ মানুষকে যেনো তাড়া করে বেরিয়েছে বহুদিন।

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় শরবত গুল নিজেই আজ তাড়া খেয়ে ছুটছেন। তার মাতৃভূমি আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচতে নকল কাগজ-পত্র সংগ্রহ করে পাকিস্তানে তিনি বসবাস করছিলেন।

চিত্রগ্রাহক স্টিভ মাককারি ১৭ বছর আগে শারবত গুলের ছবি তুলেছিলেন

ছবির উৎস, AFP/Getty

ছবির ক্যাপশান,

চিত্রগ্রাহক স্টিভ মাককারি ১৭ বছর আগে শারবত গুলের ছবি তুলেছিলেন

কিন্তু জাল কাগজ-পত্র ধরা পড়ে যাওয়ায় শারবত গুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সেই গ্রেফতার হওয়ার খবর রটে যায় বিশ্ব-মিডিয়ায়।

এরপরই মিজ. গুলের ভাগ্য যেনো খানিকটা প্রসন্ন হলো। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন, নারী হিসেবে শারবত গুলের কেসটা আবারো তিনি রিভিউ করবেন এবং মানবীয় জায়গা থেকে এটিকে বিবেচনা করবেন।

আর চৌধুরী নাসির আলী খান বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি'র উচিত এই নারীর জামিন মঞ্জুর করা।

মি. খান আরো বলেছেন আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিয়ে হয় তাকে দেশে ফেরত পাঠাবো বা সাময়িক ভিসা দিয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করতে বলবো। কিন্তু এরপরই আমরা সেই সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ধরবো যারা এই নকল পরিচয়পত্র দিয়েছিল।

পাকিস্তান সম্প্রতি নকল পরিচয়পত্র ধরতে যে অভিযান চালায় সেখানেই ধরার পড়েন শারবত গুল । আফগান সীমান্ত সংলগ্ন পেশওয়ারে গত দু'বছর ধরে তিনি বসবাস করছিলেন।