ক্রিকেটে ডিআরএস কি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে?
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজে ডিআরএসের বহুল ব্যবহারের পর অনেকে প্রশ্ন করছেন, এর প্রয়োগ কি সীমিত হওয়া উচিৎ?
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে মোট ২৬ বার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার পদ্ধতি এই ডিআরএস ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের আবেদন সঠিক বলে দেখা গেছে, আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হয়েছে ৭ বার।
বিশেষ করে আম্পায়ারর কুমার ধর্মসেনা সব চেয়ে নাটকীয় পরিস্থিতিতে পড়েন । সাকিব আল হাসানের একটি ওভারে তিন বার তিনি ইংলিশ ব্যটসম্যান মইন আলিকে রান আউট দেন। আর তিন বারই মইন আলি রিভিউ নিয়ে তা উল্টে দেন। । ফলে ডিআরএস না থাকলে খেলার ফলাফল কি হতো তা অনুমান করা সত্যি খুব কঠিন হবে।
ছবির উৎস, Getty Images
আম্পায়ার ধর্মসেনার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত রিভিউতে উল্টে যায়
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ডিআরএস খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে কিনা. বা তাতে ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারের কর্তৃত্ব খর্ব হচ্ছে কিনা।
সামনে ভারতে সফরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড সেখানে সিরিজে কি ডিআরএস কি ভুমিকা রাখবে? বিশেষ করে যথন অনেক আপত্তির পর ভারতও এখন ডিআরএস মেনে নিয়েছে?
কোলকাতায় ক্রিকেট বিশ্লেষক বোরিয়া মজুমদার বলছিলেন, এটা ঠিক যে অন্যান্য খেলায় যেমন টেনিসে, হকিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু তার একটা সীমা বেঁধে দেয়া আছে।
"সীমা অবশ্য ক্রিকেটেও বেঁধে দেয়া আছে, কিন্তু ক্রিকেটে যেটা হচ্ছে ডিআএসের আপিল যদি সঠিক প্রমাণিত হয়, তাহলে দলের হাতে থাকা মোট রিভিউ-এর সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়ে যায়। ফলে আপিল সঠিক হলে আপনি আরো রিভিউ করতে পারেন" বলছিলেন বোরিয়া মজুমদার, এবং তার কথা - হয়তো এখানে একটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
ছবির উৎস, Getty Images
চেলসি আর ওয়েস্ট হ্যাম সমর্থকরা মুখোমুখি
তা ছাড়া বার বার রিভিউ হতে থাকলে এবং আম্পায়ার ভুল প্রমাণিত হতে থাকলে তা ক্রিকেট খেলায় আম্পায়রের কর্তৃত্ব বা অবস্থানওএকটা প্রশ্নের মুখে পড়ে, বলছিলেন বোরিয়া মজুমদার।
খেলায় প্রযুক্তি আসবেই, তবে আম্পায়ারের অবস্থান খর্ব হয়ে গেলে ক্রিকেট খেলার একটা দিকই নষ্ট হয়ে যাবে - বলেন তিনি।
তার মত হলো, ভারত ও ইংল্যান্ডের সিরিজেও ডিআরএস একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠতে পারে।
ছবির উৎস, Getty Images
চেলসি আর ওয়েস্ট হ্যাম সমর্থকরা মুখোমুখি
ইংলিশ ফুটবলে কি হুলিগ্যানদের যুগ আবার ফেরত আসছে?
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম আর চেলসির খেলায় সমর্থকদের মারামারির কারণে স্থানীয় এমপি ক্লাবটিকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে আবার এ ধরণের ঘটনা ঘটলে ক্লাবটিকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে বাধ্য করা উচিত।
গত শনিবার পূর্ব লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে ওয়েস্ট হ্যামের হোমগ্রাউন্ড সাবেক অলিম্পিক স্টেডিয়াম - যার এখন নাম হয়েছে লন্ডন স্টেডিয়াম - তাতে নকআউট লিগ ইএফএল কাপের ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল চেলসি।
তাতে চেলসি ২-১ গোলে হেরে যায়। কিন্তু ওই খেলায় সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়।
ছবির উৎস, Getty Images
চেয়ার, বোতল, গ্লাস, আর কয়েন ছোঁড়াছুড়ি হয় সমর্থকদের মধ্যে
সেখানে চেয়ার, বোতল এবং ধাতব মুদ্রা ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পুলিশ অন্তত সাতজনকে গ্রেফতার করে। এর আগেও ওয়াটফোর্ড ও ওয়েস্ট হ্যামের মধ্যেকার একটি ম্যাচে সমর্থকদের মারামারি হয়।
এর পর ওয়েস্ট হ্যাম ক্লাবও সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দেয় যে এ ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের মাঠে আসা নিষিদ্ধ করা হবে।
১৯৭০ ও ৮০-র দশকে ইংলিশ ফুটবল সমর্থকরা সহিংস আচরণ ও গুন্ডামির জন্য শুধু ব্রিটেন নয় পুরো ইউরোপে পরিচিত ছিল।
ছবির উৎস, Getty Images
১৯৭০ ও ৮০র দশকে ইংলিশ ফুটবল হুলিগ্যানদের দুর্নাম ছিল সারা ইউরোপে
কিন্তু ধীরে ধীরে সেই দুর্নাম ঘুচে গেছে। এখন ইংলিশ ফুটবলে দর্শকদের মারামারির ঘটনার কথা খুব একটা শোনা যায় না।
তাই ওয়েস্ট হ্যাম ক্লাবের একাধিক খেলায় সমর্থকদের মারামারির ঘটনার পর এ প্রশ্ন উঠেছে যে ইংলিশ ফুটবলে হুলিগানদের যুগ আবার ফেরত আসছে কিনা।
এ নিয়ে এবারের মাঠে ময়দানেতে কথা বলেছেন লন্ডনে ফুটবল বিশ্লেষক মিহির বোস, যিনি ১৯৭০-৭০ দশকে টাইমসের সাংবাদিক হিসেবে বহুল ফুটবল ম্যাচের ওপর রিপোর্টিং করেছেন।