'দোষী ব্যক্তিরা শনাক্ত হবে তা আর প্রত্যাশা করি না'

পুলিশের তদন্তকাজ নিয়ে একযুগ পরেও অসন্তোষ নিহত সাংবাদিক মানিক সাহার পরিবারের।
বাংলাদেশে সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পরও তার পরিবারের সদস্যরা আক্ষেপ করে বলছেন, "পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতো তাহলে কারা জড়িত সেটি তারা আবিষ্কার করতে পারতো"।
২০০৪ সালে দৈনিক সংবাদের খুলনা ব্যুরো চীফ মানিক সাহাকে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক সাহার ভাই প্রদীপ কুমার সাহা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, একযুগ পেরিয়ে গেলেও মামলার বিচারকাজ তদন্তেই আটকে রয়েছে।
তার কথায় উঠে আসে পরিবারটির হতাশা ও আক্ষেপের সুর "এখন আর আমাদের সেই প্রত্যাশা নেই যে এর তদন্ত হবে, দোষী ব্যক্তিরা শনাক্ত হবে, তাদের বিচার হবে তা এখন আর প্রত্যাশা করি না"।
প্রকাশ্য দিবালোকে প্রেসক্লাব থেকে কয়েক গজের মধ্যেই তার ভাইকে হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রদীপ কুমার সাহা।
সাংবাদিকরা যেসব হামলার শিকার হচ্ছেন, সেসব অপরাধের যে বিচারহীনতা বন্ধে আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে 'International Day to End Impunity for Crimes against Journalists'।
গত দশকে বিশ্বের প্রায় আটশো সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, জনসম্মুখে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-খবর তুলে আনার জন্য।
বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার একটি মানিক সাহার হত্যাকাণ্ড। কিন্তু যারা হত্যাকাণ্ডটি প্রত্যক্ষ করেছেন তাদেরকে পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি এবং সেরকম কোনও সাক্ষীকে পুলিশ হাজির করতে পারেননি বলে তার পরিবার জানাচ্ছে।
নিহত মি. সাহার ভাই প্রদীপ সাহা জানান, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনদিন কোন অভিযোগ, মামলা বা খবরও শোনা যায়নি।
বরং মানিক সাহা অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। দক্ষিণাঞ্চলে লোনা পানি দিয়ে চিংড়ি চাষের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল।
তিনি জানান, মানিক সাহাকে হত্যার সময় তার বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে আর ছোট মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো। ফলে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রীকে প্রচণ্ড সংগ্রাম করতে হয়েছে।