ফিলিপিন্সে উদ্ধার বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া প্রায় ১৫ মিলিয়ন ফেরত

বাংলাদেশের চুরি হওয়া বৈদেশিক মুদ্রার একটি অংশ চলে গিয়েছিল ফিলিপিন্সের ক্যাসিনোগুলোয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ লক্ষ ডলার ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল থেকে ফেরত পাওয়া গেছে।
ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন বৃহস্পতিবার পেসোতে দশ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং বাকি অর্থ ডলারে তারা হাতে পেয়েছেন গতকাল শুক্রবার।
এক কোটি ডলার সমমূল্যের ফিলিপিন্স মুদ্রা পেসো এবং প্রায় ৪৫ লক্ষ ইউএস ডলার - সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ ডলার ফিলিপিন্সের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে জমা করে নেওয়া হয়েছে।
চীনা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম ওয়ং আদালতের নির্দেশে এই অর্থ জমা দেবার পর দেশটির বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ৪/৫ মাস পর এই টাকা হাতে ফেরত পাওয়া গেল।
আমেরিকায় সপ্তাহান্তের ছুটির পর সোমবার ব্যাংক খুললে এই ফেরত পাওয়া অর্থ নিউ ইর্য়কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিঃ গোমেজ।
মিঃ গোমেজ বলেছেন চুরি যাওয়া আরও বাকি টাকা উদ্ধারে তারা কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ছবির উৎস, AP
ফিলিপিন্সের একটি ক্যাসিনো
আরও পড়ুন :
এখনও বিভিন্ন ক্যাসিনো ও ব্যক্তিবিশেষের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ কিছু টাকা রয়ে গেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন এইসব টাকা কাদের কাছে আছে তা চিহ্নিত করা গেছে।
টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে তারা আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েছেন, কারণ এই বাকি টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়াও আদালতের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন এই প্রক্রিয়াও শিগগিরি শুরু হবে এবং তারা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে বাকি টাকাও উদ্ধার করতে পারবেন বলেই তার বিশ্বাস।
ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তর।
সেনেটের শুনানির মাধ্যমে এটা জানা গেছে যে ২৯মিলিয়ন, ২১ মিলিয়ন এবং ১৭ মিলিয়ন কাদের হাতে রয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমেই ফিলিপিন্স সরকার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। কাজেই আরও ৬৭ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাওয়ার আশা তারা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এ বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।