জাকির নায়েকের এনজিওতে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি

  • অমিতাভ ভট্টশালী
  • বিবিসি, কলকাতা
বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক অভিযুক্ত এই এনজিওটির প্রধান

ছবির উৎস, Facebook Zakir Naik

ছবির ক্যাপশান,

বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক অভিযুক্ত এই এনজিওটির প্রধান

ভারতে সন্ত্রাস দমন বিষয়ক সংস্থা এন আই এ আজ সকাল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অন্তত দশটি ভবনে তল্লাশি চালিয়েছে।

বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বা আই আর এফের প্রধান।

মুম্বাইয়ে শনিবার সকাল থেকে আই আর এফের ভবনগুলিতে তল্লাশি চালানোর আগে শুক্রবারই এন আই এ সন্ত্রাস দমন আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেছে।

ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এন আই এ জানিয়েছে, কেরালার কয়েকজন যুবককে জিহাদি মতবাদে দীক্ষিত করে তাদের ইসলামিক স্টেট নামে কথিত সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল আই আর এফের কয়েকজন সদস্য।

এন আই এ-র দায়ের করা অভিযোগপত্রে সরাসরি জাকির নায়েকের নাম অবশ্য করা হয় নি।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা কয়েকদিন আগেই জাকির নায়েকের নেতৃত্বাধীন এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল।

মি. নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলির অভিযোগ যে তিনি পিস টি ভি-তে প্রচারিত বক্তব্যগুলির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে মদত দেন।

ছবির উৎস, Peace TV

ছবির ক্যাপশান,

জাকির নায়েকের পিস টিভি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে

এই অভিযোগ অবশ্য বারে বারেই অস্বীকার করে এসেছেন মি. নায়েক এবং সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন যে তাঁর ভাষণগুলির কোনও জায়গাতেই তিনি সন্ত্রাসবাদের সপক্ষে কথা বলেন নি।

ভাষণের কিছু বিচ্ছিন্ন অংশ তুলে ধরে তাঁর কথা বিকৃত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মি. নায়েক।

পিস টি ভির ওই সব অনুষ্ঠান তৈরির খরচের একটা অংশ ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন থেকে আসে বলেও অভিযোগ ভারত সরকারের।

আই আর এফের কাছে বিদেশ থেকে আসা অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পরেই অভিযোগ ওঠে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের কয়েকজন পিস টি ভি তে মি. নায়েকের ভাষণ শুনেই সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

পিস টি ভি ভারতে অনুমোদন ছাড়াই চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।

সেটা মুসলমান প্রধান এলাকাগুলিতে যথেষ্ট জনপ্রিয়ও ছিল তবে ঢাকার ঘটনার পরেই পুলিশ প্রশাসন প্রতিটি স্থানীয় কেবল অপারেটরদের কড়া নির্দেশ দেয় পিস টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে।