“প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ঘুম থেকে জেগে উঠি”

ছবির উৎস, RITESH SHUKLA
এখনো অনেক যাত্রী ভিতরে আটকা পরে আছেন
ভারতের পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন কৃষ্ণা কেশাভ। দুর্ঘটনার সময়কার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন রাত তিনটার দিকে হঠাত প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে তাদের ঘুম ভাঙ্গে।
তিনি বিবিসি কে বলেছেন " বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয়ে যায়, আমরা প্রচণ্ড ধাক্কা খেলাম"।
দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায় নি
কৃষ্ণা কেশাভ বলেছেন " এরপর আমি কয়েকটি মরদেহ এবং আহত লোকদের দেখলাম"।
আজ রবিবার ভোরের দিকে উত্তর প্রদেশের কানপুরের কাছে পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইন চ্যুত হয়। এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯০ জন। দেড়শোর বেশি মানুষ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনার নতুন নয়। ১৯৮১ সালের বিহারে ট্রেন নদীতে পরে গেলে ২৫০ জন নিহত হয়, তবে একশোর বেশি মানুষকে কখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি।
১৯৯৫ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩৫৮ জন নিহত হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
রেলওয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অনিল সাক্সেনা বলেছেন "এখনো অনেক যাত্রী ভিতরে আটকা পরে আছেন"।
ঘটনাস্থলে ২৫০জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।