ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশু মৃত্যু:আসামীরা খালাস

ভেজাল ঔষধ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন ছিল।

ছবির উৎস, Dhaka Shishu Hospital

ছবির ক্যাপশান,

ভেজাল ঔষধ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন ছিল।

বাংলাদেশে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ পান করে শিশু মৃত্যু ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সব আসামীকে খালাস দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো: নাদিম মিয়া জানিয়েছেন মামলার তদন্তের সময় যে প্রক্রিয়ার স্যাম্পল বা নমুনা জব্দ করা হয়েছিল সেটা আইনসম্মত হয়নি। সেজন্য সব আসামীদের খালাস দিয়েছে আদালত।

২০০৯ সালে বিভিন্ন হাসপাতালে প্যারাসিটামল সিরাপ পান করে অন্তত ২৮টি শিশুর মৃত্যু হয়। সে সিরাপে রীড ফার্মার লেবেল ছিল।

এর পর সে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিন্তু তদন্তের সময় আদালতে প্যারাসিটামল সিরাপের যে নমুনা জমা দেয়া হয়েছিল সেটি রীড ফার্মার কারখানা থেকে জব্দ করা হয়নি বলে সরকারী কৌশলী জানিয়েছেন।

সে কারণে জব্দকৃত প্যারাসিটামল যে রীড ফার্মার ছিল - সেটা প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।

রাষ্ট্র পক্ষের কৌসুলি মো: নাদিম মিয়া বলেন, " যে ঔষধ জব্দ করা হয়েছিল সেটা কোম্পানির কারখানা থেকে করা হয়নি। কোন দোকান বা হাসপাতাল থেকে জব্দ করা হয়েছিল। এটাই ছিল দুর্বলতা।"

সরকারী কৌসুলি বলেন নমুনা জব্দ করার বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন হয়তো 'অজ্ঞতার' পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন আইন অনুযায়ী চারটি নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। একটি নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠাতে হয়, একটি আদালতে , একটি নমুনা আসামীকে দিতে হয় এবং একটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে রাখতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র একটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে আইনজীবী জানিয়েছেন।

আইনজীবীরা বলছেন অভিযুক্ত কোম্পানি রীড ফার্মা সত্যিই ভেজাল ঔষধ তৈরি করছিল কিনা সেটি জানার জন্য তাদের উৎপাদন-স্থল থেকে নমুনা জব্দ করা অপরিহার্য ছিল।

কিন্তু সেটি করা যায়নি বলে আসামীরা খালাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী।