সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন: প্রতিকূল এক সময়ে যার লেখা শুরু
রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন সাহিত্যিক। পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলের মুসলিম নারীদের জীবন যখন অনেক বিধি-নিষেধের বেড়াজালে বন্দী, তেমনই সময় তিনি আত্মপ্রকাশ করেন একজন লেখক হিসেবে।
লেখালেখির জন্য ছোটবেলা থেকেই মেনে নিতে হয়েছে বকুনি আর তিরস্কার। লেখাপড়া ভালো লাগেনি কোনওদিনই। এসএসসি পাশ করার পর আর আগ্রহ ছিল না নিজের। পরিবারও আর জোর করেনি।
রাবেয়া খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। তার প্রথম উপন্যাস মধুমতী তাঁতী সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনের দু:খগাঁথা নিয়ে রচিত। পরবর্তীতে এই উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিকতা এবং শিক্ষকতাও করেছেন।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানাকে বলছিলেন, ছোটবেলায় বড় বোনের কাছে গল্প শোনার অভিজ্ঞতা তার লেখালেখিতে অনেক প্রভাব রেখেছে।
বড় বোনের কাছে ছোটবেলায় গল্প শুনতে খুব ভালো লাগত। সেখান থেকেই গল্পকে ভালেবাসা। ধীরে ধীরে নিজের আগ্রহ তৈরি হয় গল্প লেখাতে। বিভিন্ন পত্রিকায় ডাক মারফত লেখা পাঠানো শুরু সেই পঞ্চাশের দশকে।
দীর্ঘদিনের লেখার অভ্যাস আর কলমের প্রতি ভালবাসায় ছেদ পড়েছে অসুস্থতা কারণে। দু:খ করে বলেন, ''লিখতে বসলে আর কোনদিকে আমার মন থাকতো না"। কিন্তু সেই মানুষটির এখন আর লিখতে ভালো লাগছে না।
বিবিসি বাংলার এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকারের অতিথি রাবেয়া খাতুন বলেছেন তার লেখালেখি, বর্তমান দিনলিপি নিয়ে ।
তার সাথে আলাপচারিতায় ছিলেন বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানা।