ছিনতাই হওয়া লিবিয়ার বিমান মাল্টায়

ছবির উৎস, Reuters
বিমানের ভেতরে কজন ছিনতাইকারী নিশ্চিত করে জানা যায়নি
লিবিয়ার যে বিমানটিকে ছিনতাই করে মাল্টায় অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে তার সব আরোহীকে বিমান থেকে চলে যেতে দেওয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হচ্ছে।
বিমানটিকে একজন নাকি দু'জন ছিনতাইকারী মিলে হাইজ্যাক করেছে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।
মাল্টার কর্তৃপক্ষ যখন বিমানটির সাথে যোগাযোগ করে তখন বলা হয় যে তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হলে সব যাত্রীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কিন্তু এসব দাবি কি এবং সেগুলো পূরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায় নি।
বলা হচ্ছে, ফ্লাইটটিতে একশো জনেরও বেশি যাত্রী ও ক্রু ছিলো।
খবরে বলা হচ্ছে, আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের এই ফ্লাইটের কমপক্ষে ৬৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিমানটি সাবাহ থেকে ত্রিপোলির দিকে যাচ্ছিলো।
এই সময়েই বিমানটিকে ছিনতাই করে মাল্টায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ছিনতাইকারীদের একজন দাবি করেন তার কাছে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড রয়েছে। তারা সেটি ফাটিয়ে বিমানটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রাথমিক খবরে জানা যায়, ছিনতাইকারীরা মাল্টায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছিলো।
সাবাহ শহরের মেয়র কর্নেল হামিদ আল-খায়েলিও বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন।
লিবিয়ার পার্লামেন্টের একজন সদস্য, যিনি বিমানে থাকা তার একজন সহকর্মীর সাথে বলেছেন, তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ছিনতাইকারীদের দাবি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায় নি।
সাবা শহরের মেয়র বলেছেন, বিমানে একজন ছিনতাইকারী। তবে কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছে দু'জন।
তিনি জানান, বিমানটিতে ১১১ জন যাত্রী এবং আরো সাতজন ক্রু রয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১১টার পর বিমানটি সাবাহ থেকে উড়ান শুরু করে এবং তার দুই ঘণ্টা ২০ মিনিট পর অবতরণ করে মাল্টায়।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকাট বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মি. মাসকাট টুইট বার্তায় বলেছেন, যাত্রীদের ৮২ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী এবং একটি শিশু।
সাবাহ শহরের মেয়র বলেছেন, "বিমানের ভেতরে বিস্ফোরক কিম্বা অস্ত্র কিভাবে গেলো সেটা নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।"
ইতোমধ্যে মাল্টা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এবং নির্ধারিত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
যেসব বিমানের নামার কথা ছিলো সেগুলোকেও অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।