তুরস্কে ১০,০০০ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে 'সন্ত্রাসবাদের' তদন্ত

ছবির উৎস, Getty Images
সামাজিক মাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধকে প্রেসিপডেন্ট এরদোয়ানের 'সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের' বিরুদ্ধে ব্যস্থা নেয়ার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে
সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের সন্দেহে ১০,০০০ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে তুরস্ক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে সরকারী কর্মকর্তাদের অপমান করা অথবা মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, "সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের" অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও "সংকল্পের সাথে" চালানো হচ্ছে।
গত ছয় মাসে এসংক্রান্ত অভিযোগে ৩,৭১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১,৬৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ এবং ৮৪ জনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তুরস্কে প্রায়সময়ই টুইটার বা ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশেষ করে বোমা হামলার পর এটি বেশি ঘটছে।
ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে এসব ব্ল্যাকআউটগুলো হিসেব-নিকেশ করেই করা হয় এবং জঙ্গি প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এগুলো নকশা করা হয়েছে।
ছবির উৎস, EPA
গত সোমবার আঙ্কারায় রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এই পুলিশ অফিসার
যদিও তুরস্ক এটি অস্বীকার করে এবং অতীতে কোন বড় ঘটনার পর ইন্টারনেটে এধরণের ব্ল্যাকআউটের জন্য অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর চাপের কথা বলেছে সরকার।
গত সোমবার তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করে হত্যা করার পরও ইন্টারনেট সেবায় বড় ধরণের বিঘ্ন ঘটে।