সাগরে ডুবিয়ে দুই জেলে হত্যার ঘটনায় বরগুনায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালতের ছবি

ছবির উৎস, Joe Raedle

বঙ্গোপসাগরে দুই জেলেকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা মামলায় বরগুনায় দু'জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ১২ জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বরগুনার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান বাহাদুর বিবিসিকে জানান, ২০১০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি বরগুনার পাথরঘাটা থেকে একটি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান ১৬ জেলে। এরপর ট্রলারে থাকার সময় মামলার মূল আসামী বাবুল মাঝি সাগরে সাতার কাটতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তিনি বলেন নতুন পৃথিবী হবে ও সেই পৃথিবীর আল্লাহ ও রাসুল হবেন দুজন। ওই মুজন মানুষের নামে জিকির করতে বলেন। কিন্তু আয়নাল ও ফারুক নামে দুই মাঝি জিকির করতে রাজি হননি। এদের প্রতি অত্যাচার করতে থাকেন। এমনকি মো. হাবিবুর রহমান জমাদ্দারের মাধ্যমে মৃত মানুষকে জীবিত করা যায়,এই বিশ্বাসে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আয়নাল ও ফারুককে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন বাবুল মাঝি ও রুস্তুম হাওলাদার।

পরে ওই জেলেরা দুজনের মরদেহ নিয়ে ফিরে এবং ডাকাতের আক্রমণে তারা নিহত হয়েছে এমন একটি মামলাও করেন।

পরে ট্রলারে থাকা অন্য জেলেদের কাছে এ ঘটনার বর্ণনা শুনে ২০১০ সালের ৬ই মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৫ জনকে আসামী করে নিহত আয়নালের বড় ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আখতারুজ্জামান বাহাদুর জানান, মামলার তদন্তে সব সত্য বের হয়েছে এবং আসামীরা কারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সেসময় কী ঘটেছে।

"সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক মো. আবু তাহের দুইজনকে ফাঁসি, সাতজনকে যাবজ্জীবন ও কথিত রাসুল হাবিবুর রহমান জমাদ্দারকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।"-জানেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

আরও পড়ুন: