পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিষিদ্ধ

বিক্ষোভ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ পাকিস্তানে নতুন কোন ঘটনা নয় (ফাইল ফটো)

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র উৎসব নিষিদ্ধ করেছে দেশটির একটি আদালত। মুসলিম সংস্কৃতি নয়, এই কারণ দেখিয়ে আদালত এই রায় দেয়।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এই ঘোষণার ফলে তাৎক্ষনিকভাবে জনসমক্ষে ভ্যালেন্টাইন্স ডে সম্পর্কিত সকল অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল হল।

গণমাধ্যমকেও ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কিত কোন অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ কিংবা প্রচারণা না চালানোর নির্দেশনা দেয় আদালত।

আদালতে দাখিল করা একটি বেসরকারি পিটিশনে বলা হয়েছিল, ভ্যালেন্টাইন্স ডে ইসলামী শিক্ষার বিরোধী। যার ওপর ভিত্তি করে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ভ্যালেইন্টাইন্স ডে উপলক্ষে গতবছর ইসলামাবাদে বেলুন বিক্রি করছেন একজন ফেরিওয়ালা (ফাইল ফটো)

পাকিস্তানে ভ্যালেইন্টাইন্স ডে এই প্রথম যে খবরে আসলো তা অবশ্য নয়। গতবছরও বিক্ষোভকারীরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র কার্ড পুড়িয়েছিল, কিন্তু এই প্রথম আদালত দিনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।

পাকিস্তান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, দেশটির অনেকেই বিশ্বাস করেন, এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে পাকিস্তানি সমাজের অনেক রক্ষণশীল অংশ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বিভিন্ন উৎসব গ্রহণ করতে চান না।

দেশটির অনেকেই বলতে চান, এটি একটি খ্রিস্টান ধর্মীয় উৎসব। গতবছর একটি পত্রিকায় দিনটিকে 'অশ্লীলতার উৎসব' আখ্যায়িত করে একটি বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হয়।

সাধারণ পাকিস্তানিদের অনেকে এটাও মনে করে যে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করানোর জন্য পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে ভ্যালেইন্টাইন্স ডে-র প্রচারণা চালাচ্ছে।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

২০১৬ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ইসলামাবাদের ফুলের বাজারের একটি ছবি

দিনটি উপলক্ষে অনলাইন স্টোর এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বিশেষ অফার দিয়ে থাকে এবং ১৪ই ফেব্রুয়ারি লাল গোলাপের দামও বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

গতবছর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইনও বলেছিলেন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে একটি পশ্চিমা প্রথা, যা পাকিস্তানের সংস্কৃতির অংশ নয়।

যদিও ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র ওপর আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ইসলামাবাদেই বহাল থাকবে। দেশটির অন্যান্য স্থানে দিনটি পালনে আইনগত কোন বাধা নেই।