মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নয়, সসিকলার জায়গা হচ্ছে কারাগারে

ছবির উৎস, AFP
মুখ্যমন্ত্রীত্বের বদলে সসিকলা নটরাজনের জায়গা হচেছ কারাগারে
রাজনীতিতে বা সরকারে কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা সসিকলা নটরাজনের। দলে তার কোনো পদও ছিলনা কখনো।
কিন্তু জয়াললিতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তামিলনাড়ুতে অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি
অনেকের ভেতর এমন ধারণাও ছিলো, পর্দার পেছন থেকে অনেক ব্যাপারে জয়াললিতাকে প্রভাবিত করতেন তিনি।
ডিসেম্বরে জয়াললিতার মৃত্যুর পর দু মাসের মধ্যে শশিকলা নটরাজন ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকে'র জেনারেল সেক্রেটারি পদ পেয়ে যান। তার পরপরই দল তাকে জয়াললিতার উত্তরসূরি অর্থাৎ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোনয়ন দেয়।
আর সেই মনোনয়নের পর থেকে গত কয়দিন ধরে একর পর এক নাটক চলতে থাকে রাজ্য
কিন্তু বেঁকে বসেন অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও পানিরসেলভাম। তিনি দাবি করেন, তাকে জবরদস্তি করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সসিকলার প্রতি দলের সিংহভাগ সাংসদের সমর্থন নেই।
এই বিতর্কের কারণে রাজ্যের গভর্নরও সসিকলার মনোনয়ন নিশ্চিত করার ফাইলটি ফেলে রাখেন।
ছবির উৎস, PTI
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়াললিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সসিকলা
সংসদে ভোটাভুটির আগে সমর্থন কেনা-বেচা বা দলে টানাটানি ঠেকাতে সসিকলা গত কয়েকদিন ধরে দলের একশোরও বেশি সাংসদকে নিয়ে নির্জন একটি হোটেলে থাকছিলেন। এমনকী মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপরও বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছিলো।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মিস নটরাজনের আশায় গুড়ে বালি হয় যখন আজ (মঙ্গলবার) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পুরোনো একটি দুর্নীতির মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।
তাকে পাশের রাজ্য কর্ণাটকে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। সেখানেই তিনি জেল খাটবেন।
ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট করছে, পুলিশ ইতিমধ্যেই মিস নটরাজনকে গ্রেপ্তার করতে হোটেলে পৌঁছেছে।
ভারতের আইনে কোনো ব্যক্তির কারাদণ্ড হলে, মেয়াদ শেষের ছয় বছর পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারেন না।
ফলে আগামী অন্তত ১০ বছর সসিকলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল।