পৃথক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ছবির উৎস, AFP
পশ্চিম তীরে দখল করা ফিলিস্তিনি জমিতে ইহুদী বসতি গড়ে তুলছে ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি সংকটের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয় দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগেকার সীমানা অনুযায়ী সব ফিলিস্তিনি এলাকাকে নিয়ে জেরুসালেমকে রাজধানী করে এই রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার কথা। এতদিন পর্যন্ত সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতি সমর্থন করে এসেছেন।
কিন্তু এই প্রথম কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতি থেকে সরে দাঁড়াতে যাচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা নাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের আরও অনেক পথ আছে।
ছবির উৎস, Getty Images
কট্টরপন্থী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক বলছেন, ইসরায়েলের কট্টরপন্থীরা চায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা থেকে সরে আসুন। কারণ তারা মনে করে যে ভূখন্ড নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে, সেসব জায়গা ইসরায়েলের দরকার।
হোয়াইট হাউস মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে তাদের এই নতুন অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে।
নতুন মার্কিন প্রশাসনের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গেনাইজেশনের (পিএলও) হানান আশরাবি বলেছেন, এটা কোন দায়িত্বশীল নীতি হতে পারে না এবং এতে শান্তির লক্ষ্যে কোন ফল হবে না।