যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছিল বক্সিং কিংবদন্তী মোহাম্মদ আলীর ছেলেকে

ছবির উৎস, Chuck Fishman
বক্সিং কিংবদন্তী মোহাম্মদ আলী। তাঁর ছেলেকেও বিমান বন্দরে আটকে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
বক্সিং কিংবদন্তী মোহাম্মদ আলীর এক ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। একটি মার্কিন সংবাদপত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিচ্ছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আলীর ছেলে মোহম্মদ আলী (৪৪) ফিলাডেলফিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। তিনি তাঁর মা খালিলাহ ক্যামাচো আলীর সঙ্গে জ্যামাইকা থেকে ফ্লোরিডায় ফিরছিলেন।
খালিলাহ ক্যামাচো আলী ছিলেন বক্সিং কিংবদন্তী মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
তাদের আইনজীবী ক্রিস মানচিনি লুইসভিল কুরিয়ের জার্নাল নামে একটি সংবাদপত্রকে জানান, গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে মোহাম্মদ আলী এবং তাঁর মাকে আটকে দেয়া হয় কেবল তাঁর নামের কারণে।
খালিলা ক্যামাচো আলী যখন তাঁর সাবেক স্বামী মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর ছবি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের দেখান, তখন তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কিন্তু ছেলে মোহাম্মদ আলীর কাছে এরকম কোন ছবি ছিল না। তাই তিনি আটকে যান। তাঁর আইনজীবী ক্রিস মানচিনি দাবি করছেন, তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন , এই নাম তুমি কোথায় পেয়েছ? তুমি কি মুসলিম?
ছবির উৎস, John Moore
মোহাম্মদ আলীর স্মরণে অনুষ্ঠানে তাঁর সাবেক স্ত্রী খালিলাহ ক্যামাচো আলী। তাঁকেও বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছিল।
মোহাম্মদ আলী তখন জানান যে তাঁর বাবার মতো তিনিও একজন মুসলিম।
ক্রিস মানচিনি বলেছেন, আলী পরিবারের কাছে এটা পরিস্কার যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন, বিমান বন্দরের এই ঘটনা তার সঙ্গে সম্পর্কিত।
সাতটি দেশের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা এখন ফেডারেল আদালতের হস্তক্ষেপে স্থগিত হয়ে আছে।
ক্রিস মানচিনি জানিয়েছেন, তিনি এবং আলী পরিবার এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন এভাবে আরও কত লোককে বিমানবন্দরে জেরা করা হয়েছে। তারা এ নিয়ে ফেডারেল আদালতে মামলার কথাও ভাবছেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলীকে বিংশ শতাব্দীর সেরা কিংবদন্তী ক্রীড়া তারকাদের একজন বলে গণ্য করা হয়। দীর্ঘদিন পার্কিনসন্স রোগে ভুগে তিনি গত বছরের তেসরা জুন মারা যান।
মোহাম্মদ আলী তিন বার বক্সিং এ বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন। কিন্তু এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের পক্ষে আন্দোলনের জন্যও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন মোহাম্মদ আলী। এর আগে পর্যন্ত তাঁর নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।