গোয়েন্দা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে টেলিফোনে কথা বলতে পারবেন বন্দীরা

ছবির উৎস, Getty Images
বাংলাদেশের অনেক কারাগাররে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী রয়েছে।
বাংলাদেশে কারাবন্দীরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টেলিফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। তবে নিরাপত্তার খাতিরে কথা বলার সময় সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন এবং ফোনকল রেকর্ড করা হবে।
তবে জঙ্গি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন না বলে জানান কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, শুধু সাধারণ বন্দীরাই কারাগার থেকে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন, যারা ফোনে কোন ধরণের আদেশ-নির্দেশ দেয়ার সম্ভাবনা নেই।
বন্দীরা কারাবাস শুরু করার সময়েই তাদের কাছ থেকে মা, বাবা, স্ত্রী অথবা সন্তানের মধ্যে দুজনের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর নেয়া হবে এবং শুধুমাত্র সেই দুটি নম্বরেই ফোনে কথা বলতে পারবেন বন্দীরা।
ছবির উৎস, Getty Images
বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ছিল বন্দী এবং স্বজনদের সবচেয়ে বেশি ভীড়। (ফাইল ছবি)
বন্দীরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পেলে তাদের সাথে স্বজনদের দেখা করতে আসার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে কেরানীগঞ্জ এবং কাশিমপুর কারাগারে এই সুবিধা চালু হবে এবং পর্যায়ক্রমে সব কারাগারে এই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানাচ্ছেন কারা মহাপরিদর্শক।
বছরখানেক আগে এধরণের একটি উদ্যোগ নেয়া হলেও নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বিবেচনা করে সেটি তখন বাস্তবায়িত হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশে কারাগারে সেবার মান বৃদ্ধি করে এটিকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাওয়ায় লক্ষ্য নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারা সপ্তাহ। এজন্য সারাদেশের ৬৮টি কারাগারে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সব কারাগারে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র পরিচালনা করা হবে।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: মুশতাকের মৃত্যু আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্ন
চলতি সপ্তাহে একটি খবর অনেককে নাড়া দিয়েছে, আর সেটা হল কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু।