ভিআইপি সংস্কৃতিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে শুরু করলো ভারত, বাংলাদেশে হবে কি?

ছবির উৎস, AFP
রাস্তাঘাটে 'ভিআইপি' কালচার বন্ধ করতে কথিত ভিআইপিদের গাড়িতে লালবাতি জ্বালানো নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার
রাস্তাঘাটে 'ভিআইপি' কালচার বন্ধ করতে কথিত ভিআইপিদের গাড়িতে লালবাতি জ্বালানো নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।
পহেলা মে থেকেই অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরী সেবার যানবাহন ছাড়া আর কোন যানবাহনে কেউ লালবাতি জ্বালাতে পারবেনা।
ভারতে মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা অনেকেই গাড়ির ছাদে এ ধরণের লালবাতি জ্বালাতেন, যা থেকে বোঝা যেতো তারা বেশ ভিআইপি।
বাংলাদেশে মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা নিজের গাড়ীতে লালবাতি না জ্বালালেও ভিআইপি সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রকট।
তাদের অনেকের গাড়ির সামনে বা পিছনে থাকা গাড়ীতে অহরহ সাইরেন আর বিকট শব্দের হর্ন বাজানো হয়।
এসব ভিআইপিদের অনেকে পুলিশী প্রটেকশন সামনে পিছনে নিয়ে রং সাইড দিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী চলাচল করেন।
ছবির উৎস, TWITTER
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট
দুদেশেই সমালোচকরা অনেকেই মনে করেন এসব কিছু আসলে তারা করেন তাদের ক্ষমতা বা তারা যে ভিআইপি সেটা বোঝানোর জন্য, যা আসলে অনেক সময় যানজটসহ নানা সমস্যার জন্ম দেয়।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লালবাতি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যে বিধির ব্যবহার করে লালবাতি ব্যবহার করা হয় সেটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টুইট বার্তায় বলেছেন, "প্রত্যেক ভারতীয়ই স্পেশাল। প্রত্যেক ভারতীয়ই ভিআইপি"।
তবে বাংলাদেশে ভিআইপিদের আসা যাওয়ার সময় রাস্তা বন্ধ করা, গাড়ির উল্টো পথে যাত্রা কিংবা এ ধরনের কথিত ভিআইপি কালচার বন্ধের তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা।
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: বাক স্বাধীনতা, জিয়ার খেতাব আর ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন
লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় হবার পর, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এই রায়ের মাধ্যমে কি বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা এবং বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্র শক্তিশালী হবে?