আল আকসা মসজিদ নিয়ে সংকট নিরসনে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ

আল-আকসা মসজিদ

ছবির উৎস, AHMAD GHARABLI

ছবির ক্যাপশান,

আল-আকসা মসজিদ

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে টানা সহিংসতার ধারাবাহিকতায় এখন ইসরায়েল কিছুটা সুর নরম করেছে।

একজন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তারা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবার কথা বিবেচনা করছেন।

গত শুক্রবার থেকে দুই তরফের মধ্যে সহিংসতায় ৫ জন ফিলিস্তিনি ও তিন জন ইসরায়েলি নিহত হয়।

এ নিয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আগামীকাল জরুরী বৈঠক ডেকেছে।

ঘটনার সূত্রপাত্র জেরুজালেমের মুসলিমদের পবিত্র হারাম আল শরীফ বা আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে।

ইসরায়েল বলছে, ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় দুজন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হবার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা এই মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছে।

ছবির উৎস, AHMAD GHARABLI

ছবির ক্যাপশান,

ওয়েস্টার্ন ওয়াল - যেটি ইহুদিদের পবিত্র স্থান

স্থানটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র, তাদের কাছে এটি টেম্পল মাউন্ট।

কিন্তু ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস মনে করেন, নিরাপত্তা টিরাপত্তা কিছু না, এটি স্রেফ ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি কৌশল।

ফলে তিনি ইসরায়েলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবার সিদ্ধান্ত নেন।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা বাতিল করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সব পর্যায়ে ইসরায়েলিদের সাথে সব রকম যোগাযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করছি।

এই ইলেকট্রনিক গেট বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা দানা বেঁধেছিল তার চূড়ান্ত রূপ পায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে।

দুই তরফের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে তিন জন ইসরায়েলি।

ছবির উৎস, THOMAS COEX

ছবির ক্যাপশান,

ডোম অব দি রক

সার্বিক পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি স্থাপনের জন্য ক্ষমতাধর দেশ ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কোয়ারটেট গ্রুপ উদ্বেগ জানানোর পর ইসরায়েল ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা এখন নিরাপত্তা বিধানের ভিন্ন কোন পদ্ধতির কথা বিবেচনা করছে।

বিবিসি আরবি বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইয়োয়াভ মোরদেচাই বলেন, আমরা আশা করি চলমান সমস্যার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিধানের জন্য জর্ডান এবং অন্যান্য আরব জাতিগুলো ভিন্ন কোন সমাধান নিয়ে আসবে।

যে কোন সমাধান সে হোক ইলেকট্রনিক, সাইবার কিংবা আধুনিক প্রযুক্তিগত অন্য কোন কিছু। ইসরায়েল সমাধানের জন্য প্রস্তুত।

আমাদের নিরাপত্তা সমাধান দরকার, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সমাধান নয়।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টন বলছেন, এটা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সুর নরম করবার একটি লক্ষণ এবং চলমান ইস্যুতে এই প্রথম তাদের নরম হতে দেখা গেল।

পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরী বৈঠক হবারও কথা রয়েছে।