গুলশান হামলা: 'অচিরেই চার্জশিট', বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- কাদির কল্লোল
- বিবিসি বাংলা, ঢাকা

হোলি আর্টিজান বেকারি সামপ্রতিক ছবি।হামলার ঘটনার এক বছর পর ভবনটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মামলাটিতে এখন অল্প সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়া সম্ভব হবে। কারন হিসেবে তিনি জীবিত থাকা মুল সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার হওয়ার কথা তুলে ধরেছেন।
উত্তরের নাটোর জেলা থেকে সন্দেহভাজন ঐ ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে হামলার অন্যতম একজন পরিকল্পনাকারি হিসেবে সন্দেহ করছে।
গত পহেলা জুলাই গুলশান হামলার এক বছর পুরো হলেও পুলিশ অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিতে পারেনি। তখন পুলিশ পলাতক থাকা সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করতে না পারার বিষয়কে কারণ হিসেবে দেখিয়েছিল।
এখন পুলিশ বলছে, পলাতকদের দু'জন নিহত হয়েছে গত এপ্রিলে শিবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশী অভিযানে। সপ্তাহ দুয়েক আগে একজন গ্রেফতার হয়েছে।
সর্বশেষ নাটোর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হলো। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি আসলাম হোসাইন অথবা রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, এ ধরণের বিভিন্ন নামে পরিচয় দিতো।
এই ব্যক্তি গত বছর নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত নব্য জেএমবি'র নেতা তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ট সহযযোগী ছিল বলে পুলিশ বলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন,গুলশান হামলার মুল পরিকল্পনাকারি হিসেবে সন্দেহভাজনদের মধ্যে জীবিতরা গ্রেফতার হওয়ায় এখন দ্রুত চার্জশিট দেয়া হবে।
"নাটোরে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারি ছিল। সবকিছু সে সমন্বয় করেছিল। তাকে ধরার ফলে জড়িত সবাই নজরদারিতে এসে গেছে বা সবাইকে ধরা হয়েছে। কিংবা কয়েকজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এখন চার্জশিট দেয়ার ব্যাপারে আর কোন সমস্যা নাই। সুতরাং আমরা অচিরেই চার্জশিট দিতে যাচ্ছি।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, তদন্ত যাতে নির্ভুল হয়, সেজন্য সময় নেয়া হয়েছে। এখন নির্ভুলভাবেই তদন্ত শেষপর্যায়ে এসেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
গুলশান হামলায় সরাসরি জড়িত পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আসলে কতজন জড়িত ছিল? যারা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে বা ধরা পড়েছে, তাদের বাইরে আর জড়িত কিনা, এসব বিভিন্ন প্রশ্ন থাকলেও মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে আসার বিষয়কে আগ্রগতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নাটোর থেকে ঢাকায় এনে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুলিশ ঐ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
তাকে শনিবার আদালতে হাজির করা হতে পারে।