বাংলাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে র্যাব কী বলছে

ছবির উৎস, Getty Images
এখন পর্যন্ত অন্তত নিহতের সংখ্যা ৮০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ৮০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
গত ৪ঠা মে থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি-না, তার নিশ্চয়তা কিভাবে দেয়া হচ্ছে?
সেজন্য কী ধরনের সতর্কতা নেয়া হয়েছে?
অভিযান নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলছিলেন "এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মাদক সেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৫শ ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে সাজা দেয়া হয়েছে"।
অভিযান নিয়ে নানা বিতর্ক
মাদক বিরোধী অভিযানকে অনেকেই সাধুবাদ জানালেও কথিত বন্দুক-যুদ্ধ নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উদ্বেগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন।
এই বিষয়ে র্যাবের কর্মকর্তা মি: খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন "আসলে মানবাধিকার কর্মীরা যে বক্তব্য দিয়েছে ,সেটা যুক্তি দিয়ে খন্ডনের কোন ইচ্ছাই আমার নেই। আমরা যেহেতু গ্রাউন্ডে কাজ করি, ওনারা (মানবাধিকার কর্মীরা) কোন জায়গা থেকে কোন সোর্স নিয়ে কথা বলে সেটা আসলে ওনারাই ভালো বলতে পারবে।
ছবির উৎস, AFP
ইয়াবা ট্যাবলেট
তিনি আরো বলেন "আর যারা এ পর্যন্ত আটককৃত হয়েছে, যারা সশস্ত্র অবস্থায় নিহত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তো অসংখ্য অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে"।
নিরীহ মানুষ শিকার হচ্ছে কি-না
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুফতি মাহমুদ খান বলেন "আপনারা নিশ্চয় জানেন আমরা পরিষ্কার বলেছি আমরা এখনো সব জায়গায় সেভাবেই আছি ।এই মাদক ব্যবসার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবির উৎস, Getty Images
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার ও বিক্রির চক্রগুলোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী
আমাদের অধিনায়কগন যারা আছে তাদের কড়া নির্দেশ দেয়া আছে, যাতে করে নিরপরাধ কেউ যেন কখনো ভিকটিমাইজ না হয়।এবং আমরা সব সময় সেটা নিশ্চিত করি"।
নিহতের ঘটনার তদন্ত হবে?
তিনি বলেন, "যখন গোলাগুলি হয় তখন প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হয়। এই অভিযান কোন সুনির্দিষ্ট সময় লক্ষ্য করে করা হয় নি।"
"এটা একটা বিশেষ অভিযান। অবশ্যই পরিস্থিতির বিবেচনায় এর ধরণ প্রকৃতির পরিবর্তন আসবে। পরিস্থিতি আসলে বলে দেবে এই অভিযান কত দিন চলবে। অভিযান যেটা শুরু হয়েছে সেটা চলমান থাকবে।"
আরো পড়ুন:
প্রধান খবর
চিঠিপত্র ও মতামত
এডিটার'স মেইলবক্স: আল জাজিরা নিয়ে 'একপেশে' আর চীন-ভারত নিয়ে দ্বিচারিতা?
বাংলাদেশে আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে আলাপ-আলোচনার মনে হচ্ছে কোন শেষ নাই।