গবেষকরা বলছেন যানবাহনে চলার সময় ইমেইল করলে সেটাকে ‘কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত’

ট্রেনে ব্যাপক মাত্রায় ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন বিস্তারের ফলে কাজের দিনের সময়কে বাড়িয়ে দিয়েছে

ছবির উৎস, Image copyrightGETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,

ট্রেনে ব্যাপক মাত্রায় ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন বিস্তারের ফলে কাজের দিনের সময়কে বাড়িয়ে দিয়েছে

ইংল্যান্ডের একদল গবেষক বলছেন যে হারে মানুষ যানবাহনে চলাচলের সময় অফিসের ইমেইল করছে,তাতে করে তাদের যাত্রার সময়টাকে কাজের দিন বা অফিস টাইম হিসেবে ধরা উচিত।

ইউনিভার্সিটি অব দ্যা ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ট্রেনে ব্যাপক মাত্রায় ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন বিস্তারের ফলে কাজের দিনের সময়কে বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করার জন্য ৫ হাজার ট্রেন যাত্রীর সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন লন্ডনে ট্রেনে যাতায়াত করেন এবং সেখানে ওয়াই-ফাই সংযোগ রয়েছে।

একজন যাত্রী বলেছেন " বাসায় আমাকে বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই আমি এই সময়টাকে কাজে লাগাই"।

তিনি আরো যোগ করেন " এটা খুব স্বস্তি-দায়ক যে, আমি কাজটা ট্রেনে বসেই শেষ করতে পারছি'।

বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন

ইন্টারনেট সংযোগ কখনো বন্ধ হচ্ছে না

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৫৪% যাত্রী ট্রেনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে অফিস বা কাজ সম্পর্কিত ইমেইল করছে।

ছবির উৎস, Image copyrightGETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,

বাকীরা তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে একই কাজ করছে।

বাকীরা তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে একই কাজ করছে।

দেখা গেছে যেসব যাত্রী অফিসের পথে যাচ্ছে তারা আগামী দিনের জন্য মেইল করছে বা পরিকল্পনা করছে এমন মেইল করছে।

আর ফিরতি যাত্রীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তারা অফিসের নিয়মিত সময়ের মধ্যে যে কাজ শেষ করতে পারেননি সেসব কাজ ফেরার সময় ট্রেনের মধ্যে করছেন।

লন্ডন থেকে বার্মিংহাম যাচ্ছেন এমন একজন যাত্রী বলেছেন "এটা আমার জন্য একটা মৃত সময়। তাই আমি এটাকে কাজ শেষ করার একটা ভালো সময় হিসেবে বেছে নিয়েছি যাতে করে রাতে কাজ করতে না হয়"।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা যত বাড়ছে তত প্রভাব চোখে পরছে। এর একটা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কর্মঘন্টা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

কর্মজীবনের সামঞ্জস্য

ছবির উৎস, Image copyrightGETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,

প্রশ্ন উঠেছে এটা স্বাস্থ্যের জন্যইবা কতটা ক্ষতিকর?

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এটা কি কর্মজীবনের সামঞ্জস্য করতে পারছে? একটি সাথে প্রশ্ন উঠেছে এটা স্বাস্থ্যের জন্যইবা কতটা ক্ষতিকর?

যদি যাত্রা পথও কাজের অংশ হয় তাহলে কি সেটা কর্মঘন্টা হিসেবে ধরা হবে কীনা? এবং নানা প্রশ্ন।

গবেষক ড. জুলিয়েট জেইন বলেছেন স্মার্ট-ফোন এবং মোবাইল কাজ এবং কাজের বাইরের জীবনের 'সীমানাকে অস্পষ্ট করছে'।

তিনি প্রশ্ন রেখেছেন "আমরা কীভাবে এই সময়ের হিসেব রাখবো? এবং এখন এটা জার্নি থেকে কাজে পরিণত হয়েছে?"

সেন্টার ফর ট্রান্সপোর্ট এবং সোসাইটির ড. জেইন বলেছেন " কোন কন্সটিটিউটটা কাজ করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেয়াটা এখন আসল চ্যালেঞ্জ"।

কিন্তু ড. জেইন বলেছেন, এটার অর্থ এই দাড়ায় নিয়োগকর্তারা চাইবেন কীভাবে যানবাহন ব্যবহারকারীরারা তাদের সময়কে ব্যবহার করছেন সে ব্যাপারে "আরো নজরদারী এবং জবাবদিহিতা"