ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্যের কাজ প্রায় শেষ

ছবির উৎস, AFP
হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ সরদার প্যাটেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এ ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যটি এখন নির্মিত হচ্ছে। এ ভাস্কর্য নির্মাণের কাজে প্রায় শেষের দিকে।
এর উচ্চতা হবে ১৮২ মিটার বা ৬০০ ফুট। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এ ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে ভারতের গুজরাট প্রদেশে।
বর্তমানে চীনে বৌদ্ধমূর্তি সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য যার উচ্চতা ১২৮ মিটার।
ছবির উৎস, Reuters
হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা সরদার প্যাটেলকে গভীর শ্রদ্ধা করে।
সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য ভারত সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপী বা ৪৩০ মিলিয়ন ডলার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্শিবাদপুষ্ট এ ভাস্কর্য নির্মাণের প্রকল্প।
এ ভাস্কর্যটি 'স্ট্যাচু অব ইউনিটি' বা ' ঐক্যের ভাস্কর্য' হিসেবে পরিচিত।
আগামী ৩১শে অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করবেন।
ছবির উৎস, AFP
ভারতে গত নির্বাচনের সময় হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা সরদার প্যাটেলের ইতিহাস সামনে এনেছে।
ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর স্বাধীন ভারতে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর মন্ত্রীসভায় তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা সরদার বল্লভভাই প্যাটেল 'ভারতের লৌহ মানব' হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন:
ছবির উৎস, AFP
ভারতের গুজরাট প্রদেশে একটি জায়গায় এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে।
ছবির উৎস, AFP
গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে এ ভাস্কর্য।
ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের যেসব কলহ এবং বিবাদ ছিল তাদের ভারতের সাথে একত্রিত করার ক্ষেত্রে সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের অনেক হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মনে করেন, ইতিহাসে সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়েছে এবং জওহরলাল নেহেরু বেশি প্রধান্য পেয়েছেন।
২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন, তখন নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "সরদার বল্লভভাই প্যাটেল স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী না হওয়ায় ভারতের প্রতিটি নাগরিকের অনুতপ্ত হওয়া উচিত।"
ছবির উৎস, AFP
এ ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য কয়েক হাজার মানুষ নিয়োজিত।
ধারণা করা হচ্ছে, সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের এ ভাস্কর্য উন্মুক্ত হবার পর এটি হবে পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা।
এ ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য ২৫০০ শ্রমিক কাজ করছে, যাদের মধ্যে চীন থেকেও কয়েকশ শ্রমিক এসেছে।