২০১৯ সালের মহাকাশের সেরা কিছু ছবি

পৃথিবীতে যখন বেশ কিছু বড় মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা চলছে, তখন ২০১৯ সালে মহাকাশে, সৌরজগতের আশেপাশের ওপর তোলা বেশ কিছু চমৎকার ছবি পৃথিবীর মানুষের হাতে এসে পৌঁছেছে। এখানে তারই কয়েকটি সেরা ছবি:

নাসার জুনো মহাকাশযান থেকে বৃহস্পতিগ্রহের মেঘের বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে।

ছবির উৎস, NASA/JPL-CALTECH/SWRI/MSSS/KEVIN M. GILL

ছবির ক্যাপশান,

নাসার জুনো মহাকাশযান থেকে বৃহস্পতিগ্রহের মেঘের বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে বিশাল ওই গ্রহটির কক্ষপথে যাওয়ার পর থেকে এই প্রথম ছবি পাঠানো জুনো। চমৎকার রঙিন এসব ছবি দেখে মনে হবে সেগুলো যেন জলরঙে আঁকা হয়েছে।

ছবির উৎস, KEVIN MCGILL/NASA/JPL-CALTECH/SWRI/MSSS

ছবির ক্যাপশান,

বৃহস্পতিগ্রহের কাছাকাছি একটি ছবিও তুলেছে জুনো। গ্রহটির ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে তোলা এই ছবিটি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেঘের আস্তর গ্রহটির ওপর এমন একটি আবহ তৈরি করেছে যেন জেট বিমানের ধোয়া।

ছবির উৎস, NASA/JHUAPL/SWRI/T. APPERE

ছবির ক্যাপশান,

২০১৫ সালে প্লুটো গ্রহে অভিযান শুরুর পর নাসার নতুন হরিযন'স মহাকাশযান নেপচুন গ্রহের কুইপার বেল্টের কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। এটি রয়েছে নেপচুনের কক্ষপথের নীচে। এখানে এমন সব আদিম, বরফের উপকরণ আছে, যা থেকে সৌরজগতের উৎপত্তির ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই বস্তুটির নাম এমইউ৬৯, এটি দুই ধরণের বরফের বলের উপকরণ আস্তে আস্তে মিলে তৈরি করেছে।

ছবির উৎস, NASA/ESA/N. SMITH/J. MORSE

ছবির ক্যাপশান,

ইটা কারিনে এমন একটি তারকা বলয়, যা পৃথিবী থেকে সাড়ে সাত হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এখানে অন্তত দুইটি তারকা রয়েছে, যা আমাদের সূর্যের চেয়ে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন গুণ তাপ বিকিরণ করে। দশকের পর দশক ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভাবতেন এটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং একটি সুপারনোভায় পরিণত হবে। এই ছবিটি হাবল টেলিস্কোপ থেকে নেয়া।

ছবির উৎস, NASA/JPL-CALTECH/MSSS

ছবির ক্যাপশান,

নাসার কিউরিওসিটি রোভার যান মঙ্গল গ্রহে ২০১২ সাল থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। একটি পাহাড় চূড়ায় ওঠার সময় এই 'সেলফি' তুলেছে রোবটটি। এখানে পাথর খুড়ে পাওয়া দুইটি নমুনায় কাদার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কাদায় অনেক সময় পানি মিশে থাকে, যা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ছবির উৎস, CLEP

ছবির ক্যাপশান,

চাঁদের অন্য পিঠের ছবি। এ বছরের শুরুতে চীনের চ্যাঙ্গ'ই-চার মহাকাশ প্রথমবারের মতো চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ করে, যে পিঠ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। অবতরণের কয়েক দিন পর রোবোটিক রোভার এবং সেটার ল্যান্ডারকে একে অপরের ছবি তুলতে বলা হয়। এটি হচ্ছে রোভার।

ছবির উৎস, CLEP

ছবির ক্যাপশান,

চাঁদের অন্য পিঠের ছবি। এ বছরের শুরুতে চীনের চ্যাঙ্গ'ই-চার মহাকাশ প্রথমবারের মতো চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ করে, যে পিঠ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। অবতরণের কয়েক দিন পর রোবোটিক রোভার এবং সেটার ল্যান্ডারকে একে অপরের ছবি তুলতে বলা হয়। এই মহাকাশযানে ক্যামেরা, রাডার আর স্পেকট্রোমিটার রয়েছে, যা চাঁদের পিঠের খনিজ পরীক্ষা করে দেখবে এবং একটি ক্ষুদ্র জীবমণ্ডল তৈরি করে উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করবে।

ছবির উৎস, ESA/HUBBLE & NASA, A. SETH ET AL

ছবির ক্যাপশান,

হাবল টেলিস্কোপের তোলা এনজিসি ৭৭২ নামের একটি সর্পিল ছায়াপথের ছবি, যা পৃথিবী থেকে ১৩০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই ছায়াপথের সঙ্গে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের অনেক মিল আছে। তবে অনেক অমিলও রয়েছে।