কপ২৬: কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করলো ৪০টিরও বেশি দেশ

ছবির উৎস, Reuters
বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৩৭% আসে কয়লা থেকে।
গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ ভবিষ্যতে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেছে বলে ব্রিটেনের সরকার জানাচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রধান কয়লা ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চিলি।
কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ কয়লা ব্যবহারকারী কিছু দেশ - অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র - এই অঙ্গীকারপত্রে সই করেনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ কয়লার ব্যবহার।
যেসব দেশ ঘোষণাপত্রে সই করেছে তারা অঙ্গীকার করছে যে দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে তারা নতুন কোন প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করবে না।
আরও পড়তে পারেন:
ছবির উৎস, Getty Images
জলবায়ু পরিবর্তনের বড় আঘাতগুলো আসবে কিছু দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর।
ব্রিটিশ সরকার বলছে, পাশাপাশি এসব দেশ একমত হয়েছে যে ধনী দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে এবং দরিদ্র দেশগুলো ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ করবে।
এসব দেশের পাশাপাশি প্রধান কিছু ব্যাংক কয়লা শিল্পে বিনিয়োগ করবে না বলে অঙ্গীকার করেছে।
"কয়লার দিন শেষ হয়ে আসছে," বলছেন ব্রিটেনের ব্যবসা ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং, "পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে এবং কয়লার ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করে বিশ্ব এখন সঠিক পথে এগুচ্ছে।"
বিশ্বব্যাপী কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার পথে অগ্রগতি হলেও এখনও ৩৭% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় কয়লা শক্তি থেকে।
কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রীনপিস-এর প্রতিনিধিদলের প্রধান হুয়ান পাবলো অসরনিও বলছেন, "এই গুরুত্বপূর্ণ দশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপারে যে ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল এই অঙ্গীকারপত্রে তা একেবারেই নেই।"
"শিরোনামটি ঝকঝকে, কিন্তু ভেতরে যা বলা হয়েছে তাতে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশগুলোকে ব্যাপক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে," তিনি বলছেন।