কোভিড: করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত বাংলাদেশে

ছবির উৎস, Getty Images
সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ।
জিম্বাবুয়ে সফর করে আসা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের দেহে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এটি নিশ্চিত করে বলেছেন আক্রান্ত দুই ক্রিকেটারই এখন সুস্থ আছেন তবে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
"দু ক্রিকেটারকে মাঝে মধ্যেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কিছুদিন সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে। আমরা দুই সপ্তাহ দেখবো। পুরো সুস্থ হওয়ার পর তাদের ছাড়া হবে," ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের একথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই প্রথম অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবর পাওয়া গেল। এ ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়।
বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:
ছবির উৎস, Getty Images
অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে বলা হচ্ছে অতি সংক্রমণশীল।
এ পর্যন্ত ৬২টি দেশে এটি ছড়িয়েছে অমিক্রন যাকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক বলা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর উপসর্গও প্রায় একই রকম।
অমিক্রন যেভাবে বাংলাদেশে এলো:
আফ্রিকা মহাদেশের দেশ জিম্বাবুয়েতে দেড় মাস আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল গিয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় অংশ নেয়ার জন্য।
বাছাইপর্ব চলাকালীন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় বাছাইপর্ব স্থগিত হয়েছিল, তখন র্যাংকিং বিচারে বাংলাদেশ নারী দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পায়।
পরে গত পয়লা ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসে দলটি।
বিশ্বকাপে প্রথমবার সুযোগ পাওয়ার আনন্দে গত সপ্তাহেই একটি সংবর্ধনা দেয়ার কথা ছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
কিন্তু এর মধ্যেই নারী দলটির দুই ক্রিকেটারের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আজই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হলো।
ছবির উৎস, Getty Images
কোভিড চিকিৎসা।
অমিক্রন সম্পর্কে আমরা এপর্যন্ত কী জানি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে অমিক্রন। গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড-নেম ঠিক করা হয়েছে।
এই ভ্যারিয়েন্টটি মিউটেট বা তার রূপ পরিবর্তন করেছে অনেকভাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি "অনেক অস্বাভাবিকভাবে মিউটেট" করেছে এবং এখন পর্যন্ত অন্য যেসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে তার চেয়ে এটি "অনেকখানিই আলাদা।"
"এটা আমাদের খুব অবাক করেছে," বলছেন তিনি, "বিবর্তনের জন্য এটা বড় বড় ধাপ পার হয়েছে। (কোভিড জীবাণুতে) আমরা সাধারণত যে ধরনের মিউটেশন দেখি এর মধ্যে সেটা অনেক বেশি।"
সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ।
এর মিউেটশনের তালিকা এত দীর্ঘ যে একজন বিজ্ঞানী একে 'ভয়াবহ' বলে বর্ণনা করেছেন।