টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য, শতাধিক নিহতের আশঙ্কা

টর্নেডো

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

টর্নেডো আক্রান্ত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

৩৬৫ কিলোমিটার বেগের এক টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য। এখনো পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একটি মোমবাতির কারখানায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশির।

টর্নেডোটি ওই কারখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানার পর সেটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

মেফিল্ড শহরের ওই কারখানাটির ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ছবির উৎস, Reuters

ছবির ক্যাপশান,

বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে কেন্টাকির হাজার হাজার অধিবাসী।

এ পর্যন্ত কারখানাটি থেকে ৪০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

টর্নেডোতে উদ্ধারকর্মী সংস্থার যন্ত্রপাতি, পুলিশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেছেন, "টর্নেডোর আঘাতে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এরকম দৃশ্য আমি কখনো প্রত্যক্ষ করিনি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩৬৫ কিলোমিটার বেগের টর্নেডোটির গতিপথের যা ছিল সবই যেন উপড়ে গেছে বলে তিন বর্ণনা করেছেন।

টর্নেডোতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিসৌরি, আরকানসা, ইলিনয়, টেনেসি, মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

টর্নেডোটির গতবেগ ছিল ৩৬৫ কিলোমিটার।

এসব অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে ১২ জনের মতো মারা গেছে।

অনলাইনভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের একটি গুদাম ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে কেন্টাকির হাজার হাজার অধিবাসী।

দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টর্নেডো আক্রান্ত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন টর্নেডো আক্রান্তদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করবে তার প্রশাসন।

যাদের বাড়িঘর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের আশ্রয়রে জন্য অস্থায়ী আবাসন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।